চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজের তৃতীয়টিতে ইংল্যান্ড জিতেছে ২৩৯ রানে। ওভালের শততম টেস্টে এই জয়ে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল জো রুটের দল।
ডিন এলগারের অষ্টম শতকে লড়াই করা দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিরোধ শেষ হয়ে যায় লাঞ্চের পরপরই।
৭৬তম ওভারের শেষ দুই বলে এলগার ও কাগিসো রাবাদাকে ফিরিয়ে দলের জয়কে এক উইকেট দূরত্বে নিয়ে যান মইন। পরের ওভারে ফিরে প্রথম বলেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মর্নে মর্কেলকে।
ম্যাচ বাঁচাতে ৬ উইকেট নিয়ে পঞ্চম ও শেষ দিন কাটিয়ে দিতে হতো দক্ষিণ আফ্রিকাকে। জিততে করতে হতো আরও ৩৭৫ রান। তার কোনোটারই ধারে কাছে যেতে পারেনি দলটি। সোমবার ২৫২ রানে দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
৪ উইকেটে ১১৭ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করা দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা ছিল আশা জাগানিয়া। ইংলিশ পেসারদের ঠিকঠাক সামাল দিচ্ছিলেন এলগার ও টেম্বা বাভুমা। তাদের ১০৮ রানের জুটি ভাঙার কৃতিত্ব টবি রোল্যান্ড-জোন্সের।
অভিষিক্ত এই পেসার পরপর দুই বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন বাভুমা ও ভার্নন ফিল্যান্ডারকে।
২২৮ বলে ২০টি চারে ১৩৬ রান করে ফিরেন এলগার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাভুমার ৩২।
৪৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সেরা বোলার মইন। রোল্যান্ডর জোন্স ৩ উইকেট নেন ৭২ রানে।
শতকসহ ১৪৩ রান আর ৩ উইকেট নিয়ে অলরাউন্ড নৈপুণ্যের জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন বেন স্টোকস।
আগামী শুক্রবার ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে শুরু হবে চতুর্থ ও শেষ টেস্ট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৩৫৩
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ১৭৫
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৩১৩/৮ ইনিংস ঘোষণা
দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংস: ৭৭.১ ওভারে ২৫২ (লক্ষ্য ৩৯২) (কুন ১১, এলগার ১৩৬, আমলা ৫, ডি কক ৫, দু প্লেসি ০, বাভুমা ৩২, ফিল্যান্ডার ০, মরিস ২৪, মহারাজ ২৪*, রাবাদা ০, মর্কেল ০; অ্যান্ডারসন ০/২৬, ব্রড ১/৪৭, রোল্যান্ড-জোন্স ৩/৭২, স্টোকস ২/৫১, মইন ৪/৪৫)
ফল: ইংল্যান্ড ২৩৯ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: বেন স্টোকস