বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে মঙ্গলবার ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ২৪ রানে জিতেছে গাজী। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে আট ম্যাচে এটি তাদের অষ্টম জয়। ১২ পয়েন্ট নিয়ে তাদের পেছনে আছে আবাহনী।
চোটের জন্য আগের ম্যাচে নিয়মিত অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাককে হারানো শেখ জামালের এটি টানা দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে তৃতীয় পরাজয়।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে শেখ জামালের ইনিংসের মাঝে বৃষ্টি নামলে ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ৪৩ ওভারে। টস জিতে ব্যাট করতে নামা দলটি ৯ উইকেটে করে ২৩২ রান।
দলের প্রথম সাত ব্যাটসম্যানের সবাই যান দুই অঙ্কে। সর্বোচ্চ তানবীর হায়দারের ৫৭ রান। আর কেউ চল্লিশ পর্যন্ত যেতে পারেননি।
দ্বিতীয় উইকেটে ফজলে মাহমুদের সঙ্গে প্রশান্ত চোপড়ার ৬২ রানের পর অর্ধশত রানের জুটি হয়নি আর একটিও।
গাজীর মেহেদী হাসান ও আবু হায়দার নেন দুটি করে উইকেট।
ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে জয়ের জন গাজীর লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৩ ওভারে ২৩৭ রান। তাদের ইনিংসের ২১তম ওভারে বৃষ্টি নামলে সেখানেই খেলার সমাপ্তি হয়।
সে সময় গাজীর স্কোর ছিল ২ উইকেটে ১১৪ রান। ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে সে সময়ে লক্ষ্যের চেয়ে এগিয়ে থাকা দলটি জেতে ২৪ রানে।
শুরুতে এনামুল হককে হারানো গাজীকে কক্ষপথে রাখেন জহুরুল ও মুমিনুল। দুই জনের ৬৮ রানের জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে এগিয়ে যায় দলটি। যে কোনো সময় বৃষ্টি নামতে পারে, তাই ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতি কত রান দরকার সেটা বিবেচনায় রেখেই ব্যাট করছিলেন দুই জনে।
৪৫ বলে ৭টি চারে ৪৬ রান করে ফিরেন মুমিনুল। ম্যাচ সেরা জহুরুল অপরাজিত ছিলন ৪৯ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব: ৪৩ ওভারে ২৩২/৯ (মাহমুদ ৩৮, আল মামুন ২৩, প্রশান্ত ৩৫, তানবীর ৫৭, রাজিন ১৬, জিয়া ২০, সোহাগ ২১, সানি ৮, মাহমুদুল ৭*, শাহাদাত ০, শাকিল ০*; হায়দার ২/৪৭, হোসেন ১/২৯, মেহেদী ২/৩৬, শুভ ১/৪৩, শাহজাদা ১/১৪, রসুল ১/৬২)
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স: ২০.৫ ওভারে ১১৪/২ (এনামুল ১২, জহুরুল ৪৯*, মুমিনুল ৪৬, শুভ ৫*; শাহাদাত ০/১৮, সোহাগ ১/২১, সানি ০/১৬, জিয়া ০/১৫, মাহমুদ ০/২৫, তানবীর ১/১৭)
ফল: গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ২৪ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: জহুরুল ইসলাম