নতুন বলে চমৎকার বোলিং করেছেন বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজ। দিমুথ করুনারত্নেকে বিদায় করে ‘ব্রেক থ্রু’ এনে দিয়েছেন তিনিই। তৃতীয় সেশনে বোলিংয়ে ফিরে নিয়েছেন গল টেস্টে দুই ইনিংসেই রান পাওয়া দিলরুয়ান পেরেরার উইকেট।
প্রথম টেস্টে শতক করা কুসল মেন্ডিস ও উপুল থারাঙ্গার উইকেট নিয়েছেন তরুণ অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মিরাজ। ফিল্ডিংয়েও ছিলেন দুর্দান্ত।
পি সারা ওভালে বুধবার প্রথম দিনের খেলা শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা সাব্বির জানান, পরিকল্পনা মাঠে বাস্তবায়ন করায় প্রথম দিনটি নিজেদের করে নিতে পেরেছেন তারা।
“আমাদের পরিকল্পনা ছিল রান কম দেওয়া, ডট বল বেশি করা। কারণ, রান কম হলে ওরা চাপে থাকবে। মুস্তাফিজ আর মিরাজ- দুই জনই আজ চমৎকার বোলিং করেছে। আমাদের বোলাররা খুব ভালো বোলিং করেছে বলেই অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে। সেগুলো আমরা কাজেও লাগিয়েছি।”
সোমবার নেটে ব্যাটিং করার সময় পাঁজরে চোট পান উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান লিটন। তাই এক ম্যাচ পরই টেস্ট একাদশে ফেরার সুযোগ মিলে সাব্বিরের। এই তরুণ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান জানান, নিজেকে তৈরি রেখেছিলেন যে কোনো পরিস্থিতির জন্য।
“লিটনের জন্য অবশ্যই খুব খারাপ লাগছে। অবশ্যই চাইবো না, আমার খেলার জন্য কেউ চোটে পড়ুক। এখানে আসার পর থেকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছিলাম। যদি কোনো কারণে দলে আমি আসি যেন নিজের সেরাটা দিতে পারি।”
ইদানিং ফিল্ডিং ভালো হচ্ছিল না বাংলাদেশের। মিস ফিল্ডিং হচ্ছিল, সহজ সুযোগ হাতছাড়া হচ্ছিল। শততম টেস্টের প্রথম দিন মাঠে দেখা অন্য বাংলাদেশকে। আউট ফিল্ড, ক্যাচিং পজিশন সবখানেই দুর্দান্ত ফিল্ডিং হল।
“আমরা দলের সবাই শততম টেস্টের অংশীদার হতে পেরে গর্বিত। সবাই চাই, যেভাবেই হোক এই ম্যাচটা জিততে। সব ম্যাচই জিততে চাই তবে এই ম্যাচটা জেতা দেশের জন্য, দলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।”
মাঠে সবার তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান-তামিম ইকবালরা সব সময়ই চেষ্টা করেছেন দলকে চাঙা রাখতে। তরুণ মুস্তাফিজ-মিরাজ-মোসাদ্দেক হোসেনদের মধ্যেও দেখা গেছে বাড়তি কিছু করার চেষ্টা।
“সব টেস্টেই আমাদের প্রস্তুতি এক রকম থাকে। কিন্তু এই টেস্ট বিশেষ। আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলতে চেয়েছি।”
আরও চারদিন এমন খেলে গেলে লক্ষ্য পূরণ হতেই পারে সাব্বিরদের।