এক বল আগেই বেরিয়ে এসে দারুণ এক কাভার ড্রাইভে চার মেরেছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে। ভারতীয় অফ স্পিনার চাইছিলেন যেন এটিই। বের করে আনা। আবার ঝুলিয়ে দিলেন। এবার মুশফিকুর রহিম চাইলেন উড়িয়ে মারতে। সহজ ক্যাচ।
টেস্ট ম্যাচে এমন শট সবসময়ই তুলতে পারে প্রশ্ন। আর এই ম্যাচের প্রেক্ষাপটে তো মুশফিকের শটটি একরকম অপরাধের পর্যায়েই পড়ে। সকালেই ফিরে গেছেন সাকিব আল হাসান। ম্যাচ বাঁচানোর ভার অনেকটাই ছিল মুশফিকের কাঁধে।
প্রথম ইনিংসে বীরোচিত ইনিংস খেলেছিলেন। শেষের লড়াইয়ে ফিরলেন আত্মহত্যা করে। ম্যাচ শেষে জানালেন, অশ্বিনকে থিতু হতে দিতে চাননি বলেই অমন শট খেলছিলেন।
“ভাবনা ছিল…ইতিবাচক থাকা। সকালে সাকিবের ডেলিভারিটা দেখেছেন বা গতকাল বিকেলে মুমিনুলের। যদিও ভারতের টিপিক্যাল পঞ্চম দিনের উইকেট নয়, কিন্তু তার পরও রাফ ছিল উইকেটে। সেটা সামলানোও কঠিন। অশ্বিন যদি একই লাইনে বল করে যেতে থাকে, কাছ ঘিরে ছিল অনেক ফিল্ডার, তাহলে সে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। আমি চেয়েছি পায়ের ব্যবহার করতে এবং অশ্বিনের লাইন লেংথ একটু এলোমেলো করে দিতে।”
মুশফিকের দাবি, দেখতে বাজে লাগলেও তার শট খারাপ ছিল না।
“শটটা খারাপ ছিল না। স্রেফ ঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করতে পারিনি। কারণ কয়েক ওভার আগেই অফ স্টাম্পের বাইরে বলে জাদেজাকে রিভার্স সুইপ খেলেছি, দারুণভাবে লেগেছিল ওটা। অশ্বিনেরটা ঠিক ভাবে খেলতে পারিনি। ফিল্ডার ভেতরে ছিল। চার মারতে পারলে ফিল্ডার পিছিয়ে নিত ওরা। তখন সিঙ্গেল নেওয়া সহজ হতো। এটিই ছিল ভাবনা।”
কিন্তু এই চার মেরে ফিল্ডারকে সীমানায় নিতে বাধ্য করা, সিঙ্গেল নিয়ে খেলা, এসব তো ওয়ানডে ব্যাটিংয়ের ভাবনা! টেস্টে একটি-দুটি চারে ফিল্ডিং ছড়ানো হয় সামান্যই। বিশেষ করে শেষ দিকে চাপের মধ্যে তো আরও নয়।
শট খারাপ খেলেননি বললেও মুশফিক বললেন শিক্ষা নেওয়ার কথা।
“হয়ত আরেকটু সময় নিয়ে, আরও তিন-চার ওভার থাকার পর অশ্বিনকে ওই শট খেলতে পারতাম। এই ভুল থেকে শিখব।”
ভুল থেকে শিক্ষার প্রমাণ বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মাঝে কমই দেখা যায়। আশায় থাকতে হবে, মুশফিক হবে ব্যতিক্রম!