চোটে মাঠের বাইরে শহীদ

ডান পায়ের লিগামেন্টের চোটে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) বাকি ম্যাচগুলোয় খেলা হচ্ছে না মোহাম্মদ শহীদের। ফিল্ডিং করতে গিয়ে পাওয়া এই চোটের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ক্যাম্পেও যাওয়া হবে না এই পেসারের। অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে নিউ জিল্যান্ড সিরিজে খেলা নিয়েও।   

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Nov 2016, 10:30 AM
Updated : 6 Dec 2016, 01:41 PM

গত শনিবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ফিল্ডিং করার সময় চার বাঁচাতে গিয়ে চোট পান শহীদ। একটু পর মাঠে ফিরলেও বেশিক্ষণ থাকেননি।

রোববার বিসিবি প্রধান ক্রীড়া চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরী জানান, চোট কতটা গুরুতর জানতে সকালে শহীদের এমআরআই করানো হয়েছে।

“অফিসিয়াল রিপোর্ট এখনও পাইনি। আমাদের যে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ তাতে ওর লিগামেন্ট আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহ ওকে আমরা পুরোপুরি বিশ্রামে রাখবো। এই সময়ে প্রাথমিক চিকিৎসা চলবে।”

বিপিএল শেষেই ক্যাম্পের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় যাবে বাংলাদেশ দল। সেই ক্যাম্পের জন্য দেওয়া ২২ জনের দলে আছেন শহীদ। কিন্তু দুই সপ্তাহ সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে বলে যাওয়া হবে না এই পেসারের।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে শহীদ জানান, দুই সপ্তাহ পর শুরু হবে তার মাঠে ফেরার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া।

“ফিল্ডিং করতে গিয়ে ডান পায়ের লিগামেন্টে চোট পেয়েছি। এখান দুই সপ্তাহ সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। এরপর রিহ্যাব শুরু হবে। আশা করি, চার সপ্তাহের মধ্যে মাঠে ফিরতে পারব।”

“নিউ জিল্যান্ড সিরিজের আশা ছাড়ছি না। আমার হাতে যথেষ্ট সময় আছে। সে লক্ষ্যেই আমি কাজ করব। ইংল্যান্ড সিরিজ মিস হয়েছে এটা মিস করতে চাই না।” 

এর আগে জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এসসিএল) খেলার সময় চোট পান শহীদ। সাইড স্ট্রেইনের জন্য ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বিবেচনা করা হয়নি তাকে।

আগামী ৯ ডিসেম্বর হবে বিপিএলের ফাইনাল। ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে এই টুর্নামেন্টে শহীদ ৮ ম্যাচে ১২.৬৪ গড়ে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। ওভার প্রতি ৬.৮৮ করে দিয়েছেন এই পেসার। অন্যতম সেরা অস্ত্রকে এবারের আসরে আর পাচ্ছে না ঢাকা।

“বিপিএলটা আমার ভালো যাচ্ছিল। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলাম। খুব ভালো সময় যাচ্ছিল। আমার একটাই লক্ষ্য ছিল ঢাকাকে চ্যাম্পিয়ন করানো। দল আমার উপর নির্ভরশীল ছিল”

ডা. দেবাশীষ মনে করেন, চোট থেকে সেরে উঠতে কত সময় লাগবে সেটা অনেক সময় খেলোয়াড়ের ওপরও নির্ভর করে।

“সাধারণত এই ধরনের চোটে বিশ্রামের সময়টা দুই থেকে তিন সপ্তাহ হয়ে থাকে। তারপর পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়।”