“আমাদের একজন লেগ স্পিনার ছিল…কিন্তু সে তো বিবর্ণ হয়ে গেল…! খুবই হতাশাজনক।”
হাথুরুসিংহের কথা বলেই এটি দারুণ তাৎপর্যপূর্ণ, ধরে নেওয়া যায় নিশ্চিত বার্তা। হাথুরুসিংহে বরাবরই ছিলেন জুবায়েরের গুণমুগ্ধ। তরুণ লেগ স্পিনারকে আগলে রেখেছেন শুরু থেকে, সমর্থন দিয়েছেন শক্তভাবে।
কিন্তু কোচও ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলছেন জুবায়েরকে নিয়ে। শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছিলেন বাংলাদেশ কোচ। টেস্টে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ দাঁড় করানোর লড়াই নিয়ে কোচ নিজে থেকেই টানলেন জুবায়েরর প্রসঙ্গ।
কোচের মতে, শুরুটা দারুণ হলেও এখন পথ হারিয়েছেন জুবায়ের।
“ওর স্কিল ছিল দারুণ। ক্যারিয়ারের শুরুতে যখন ছন্দে ছিল, তখন সেটা আমরা দেখেছিও। আমাদেরকে ম্যাচ জিতিয়েছে ও। দ্বিতীয় কী তৃতীয় টেস্টে ৫ উইকেট নিয়েছে, ভারতের বিপক্ষে বড় দুটি উইকেট পেয়েছে।”
“কিন্তু ওর পেছনে যে সময় ও শক্তি আমরা ব্যয় করেছি, সেটা ফল না দেওয়ায় আমরা খুবই হতাশ। এটি খুবই হতাশাজনক।”
৬ টেস্ট খেলে ১৬ উইকেট নিয়েছেন জুবায়ের। খেলেছেন বাংলাদেশের সবশেষ তিন টেস্টেই। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকে শুরু করে ‘এ’ দল হয়ে সম্ভাবনার ইঙ্গিত রেখেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও।
তবে তাকে নিয়ে সংশ্লিষ্টদের হতাশাটাও বেড়েছে ক্রমশ। একজন লেগ স্পিনারকে যেখানে শত শত বল করে যেতে হয় দিনের পর দিন, নেট ঘাম ঝরাতে হয় ক্লান্তিহীনভাবে, এই জায়গাগুলোয় জুবায়েরকে নিয়ে অভিযোগ অনেকেরই। তার নিবেদন নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন, ফিটনেস নিয়ে কাজ করার অনাগ্রহে হতাশ ফিটনেস ট্রেনাররা।
হাথুরুসিংহে তবু বরাবরই পাশে থেকেছেন জুবায়েরের। ২১ বছর বয়সী লেগ স্পিনার এবার সেই ছায়াটাও হারালেন মাথার ওপর থেকে।