ক্রিকেটারদের সঙ্গে বৈঠকের পর গত ২৫ অগাস্ট বাংলাদেশ সফর নিশ্চিত করে ইসিবি। এরপর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছুটা অস্বস্তির কথা জানান উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান জস বাটলার ও পেসার লিয়াম প্লাঙ্কেট। মর্গ্যান অবশ্য বৈঠকের আগেই জানিয়েছিলেন, ইসিবি সফরের সিদ্ধান্ত নিলেও বাংলাদেশে যেতে কাউকে জোর করা হবে না। এখন আবারও আগামী অক্টোবরের সফর নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলেন এই ব্যাটসম্যান।
তবে মগ্যার্ন দাবি করছেন, সফরে যাওয়া বা না যাওয়া নিয়ে তার সিদ্ধান্ত অন্য খেলোয়াড়ের উপর প্রভাব ফেলবে না।
“একদমই না। এটা পুরোপুরি ব্যক্তিগত বিষয়।”
মর্গ্যান মনে করেন, দলের কেউ ব্যক্তিগতভাবে যাওয়া বা না যাওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত নিলে অন্যরা তার পাশে দাঁড়াবে।
“আমি মনে করি, একটি সন্ত্রাসী হামলার দুই মাসের মধ্যে এত তথ্য আপনাকে দেওয়ার পর আপনাকে সব কিছু হজম করতে হবে। আপনাকে নিজেকে গুছিয়ে আনতে হবে যাতে আপনি সেখানে গিয়ে ক্রিকেটে মনোযোগ দিতে পারেন।”
ওয়ানডে দল ঘোষণা করার কথা ছিল ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচের দুই দিন পর আগামী ৯ সেপ্টেম্বর। তবে তা পরের সপ্তাহ পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ত খেলোয়াড়রা আরও সময় পায় ভাবার।
এর মধ্যেই খেলোয়াড়দের সঙ্গে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটের পরিচালক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস ও ইসিবির নিরাপত্তা প্রধান রেজ ডিকাসনের সঙ্গে কথাবার্তা চলবে। সফর নিশ্চিত করার পর স্ট্রাউস জানিয়েছিলেন, তিনি মনে করেন, সফর ‘শতভাগ নিরাপদ’ আর আশা করেন, দলে জায়গা পাওয়া সবাই বাংলাদেশ সফরে যাবে।
মর্গ্যান মনে করছেন, বাংলাদেশ সফর নিয়ে ভাবার জন্য আরও সময় প্রয়োজন ছিল।
“আমি মনে করি, অল্প সময়ের মধ্যে কঠিন একটি সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। তবে আমাদের ইসিবি সময় দিচ্ছে যা কাজে আসবে। আমি মনে করি, আমরা সিদ্ধান্ত নিতে, স্বস্তি বোধ করতে ও নিরাপদ অনুভব করতে যত সময় প্রয়োজন হয় নিব।”
তবে ওয়ানডে অধিনায়ক ধারণা করছেন, তার ও অন্য খেলোয়াড়দের বাংলাদেশ সফর নিয়ে অবস্থান টি-টোয়েন্টি ম্যাচের দুই দিনের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা ইংল্যান্ড দলের। সফরে তিনটি করে প্রস্তুতি ম্যাচ ও ওয়ানডে খেলবে তারা। প্রায় এক মাসের সফর শেষ হবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে।