আকাশে মেঘের ঘনঘটা, বৃষ্টির জন্য কিছুক্ষণের জন্য বন্ধও ছিল খেলা। তৃতীয় দিনে গড়ানো ভারতের ইনিংসের তখন ১৬৪তম ওভার চলছে। পরপর দুই বলে ফিরে গেছেন অমিত মিশ্র, মোহাম্মদ শামি। অন্য প্রান্তে তখন রোস্টন চেইজের হ্যাটট্রিক ঠেকিয়ে দেওয়া উমেশ যাদব। শতক থেকে তখনও ১৫ রান দূরে রাহানে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আছে শেষ তিন দিনে বৃষ্টির শঙ্কা। তাই দ্রুত ইনিংস ঘোষণার তাড়ায় ছিলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
সোমবার স্যাবিনা পার্কে এর মধ্যেও ঠাণ্ডা মাথায় নিজের সপ্তম টেস্ট শতকে পৌঁছান রাহানে। চেইজকে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে পৌঁছান নব্বইয়ের ঘরে। অফ স্পিনারের পরের ওভারে স্লিপের ফাঁক গলে চার হাঁকিয়ে মাতেন উল্লাসে। তার শতকের কিছুক্ষণ পর ফিরে যান যাদব, ততক্ষণে ভারত পেয়ে গেছে তিনশ’ রানের বড় লিড।
যাদব ফিরতেই ৯ উইকেটে ৫০০ রানে ভারতের ইনিংস ঘোষণা করেন কোহলি। ১০৮ রানে অপরাজিত রাহানে। ২৩৭ বলে খেলা তার দৃঢ়তা ভরা ইনিংসটি গড়া ১৩টি চার ও ৩টি ছক্কায়।
এর আগে লোকেশ রাহুলের শতকে ৫ উইকেটে ৩৫৮ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল ভারত। তৃতীয় দিনের সকালেও রানের জন্য সংগ্রাম করতে হয় অতিথিদের। দ্বিতীয় দিন প্রথম সেশনে ৫৯ রান যোগ করা অতিথিরা সোমবারের প্রথম সেশনে তুলতে পারে ৬৭ রান।
লাঞ্চের আগে শেষ ওভারে জেসন হোল্ডারের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন ঋদ্ধিমান সাহা। চলতি টেস্টে ভারতের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে চল্লিশের ঘরে আউট হন তিনি।
দ্বিতীয় সেশনে রাহানেকে দারুণ সঙ্গ দেন মিশ্র। বৃষ্টিতে ৫০ মিনিটের জন্য খেলা বন্ধ হলে ছন্দপতন ঘটে তার ব্যাটিংয়ে। আবার খেলা শুরু হলে আর কোনো রান না করেই ফিরে যান তিনি। পরের বলেই তাকে অনুসরণ করেন শামি।
তবে যাদবের ১৪ বলের ছোট্ট ইনিংসই সঙ্গ হিসেবে রাহানের জন্য যথেষ্ট ছিল।
ভারত ইনিংস ঘোষণা করলে আগেভাগেই চা-বিরতি নেওয়া হয়। কিন্তু এই সময়ে বৃষ্টি নামলে তৃতীয় দিন আর খেলা সম্ভব হয়নি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস: ১৯৬
ভারত: ১৭১.১ ওভারে ৫০০/৯ ডিক্লে. (রাহুল ১৫৮, ধাওয়ান ২৭, পুজারা ৪৬, কোহলি ৪৪, রাহানে ১০৮*, অশ্বিন ৩, ঋদ্ধিমান ৪৭, মিশ্র ২১, শামি ০, যাদব ১৯; চেইজ ৫/১২১, গ্যাব্রিয়েল ১/৬২, হোল্ডার ১/৭২, বিশু ১/১০৭)