দুবাইয়ে টস জেতা মানেই যেন ম্যাচ জেতা। এখানে স্রেফ স্কটল্যান্ড টস জিতে পরে ব্যাট করে হেরেছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সেই ম্যাচে নিউ জিল্যান্ড আগে ব্যাট করে জিতেছিল ১৬ রানে।
এই মাঠেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টস হেরে নিদারুণভাবে ব্যর্থ হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। আগে ব্যাট করে হেরেছিল বড় ব্যবধানে। আসরে সাত ম্যাচের মধ্যে কেবল ওই ম্যাচেই টস হেরেছিল দলটি। হারও ওই একটিই। বাকি ছয়টিতে জয় ফিঞ্চের দলের।
ফাইনালে ৮ উইকেটে জিতে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের পর টস ভাগ্যকে বড় করেই দেখালেন ফিঞ্চ। স্বীকার করলেন বাস্তবতা।
“সত্যি বলতে, টস এই ম্যাচে বড় প্রভাই ফেলেছে। টসের ব্যাপারটি আমি যতটা সম্ভব হালকা করে দেখার চেষ্টা করেছি। কারণ, ভেবেছিলাম টুর্নামেন্টের কোনো এক পর্যায়ে আমি টস হারব এবং আমরা আগে ব্যাট করব।”
“(সেটি হয়নি) তবে টস বড় ভূমিকা রেখেছে। সবাই দেখেছে, ম্যাচের শেষ দিকে শিশিরের প্রভাব ছিল। স্লোয়ারগুলো উইকেটে ততটা গ্রিপ করেনি। আমি জানি না, কীভাবে আমি এটা (সাত ম্যাচে ছয় টস জয়) করেছি। সম্ভবত ভাগ্য।”
পুরোটাই যে ভাগ্য তা মনে করেন না ফিঞ্চ। সব ম্যাচই জিততে হয়েছে নিজেদের সেরাটা দিয়ে।
“টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একটু ভাগ্যের সহায়তা লাগেই। আমাকে ভুল বুঝবেন না, একটু ভাগ্যের সহায়তা সবারই লাগে। যেমনটা বলেছি, আমরা সাত ম্যাচের ছয়টায় টস জিতে অনেক এগিয়ে গেছি।”
“তবে একই সঙ্গে খুব ভালো ক্রিকেটও খেলেছি। আমরা যেভাবে খেলেছি তাতে প্রতিপক্ষ পেছনে পড়ে গেছে। কারণ, আমরা ছিলাম আগ্রাসী। তবে হ্যাঁ, এটা ছিল চমৎকার।”
ফিঞ্চের আগে সংবাদ সম্মেলনে আসা নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক উইলিয়ামসনও মনে করেন, ভালো ক্রিকেট খেলেই শিরোপা জিতেছে অস্ট্রেলিয়া।
“হ্যাঁ, টসের একটু ভূমিকা ছিল। কিছুটা শিশির পড়েছিল। কিন্তু এর জন্য অস্ট্রেলিয়ার উঁচু মান থেকে কিছু কমছে না। ওরা ফাইনালে এসেছে এবং এই ম্যাচে অসাধারণ খেলেছে। জয়ের কৃতিত্ব ওদের। গত তিন সপ্তাহ ধরে ওরা যেভাবে খেলছে তাতে (শিরোপা জয়ের) কৃতিত্ব ওদের।”