আবু ধাবিতে গত বুধবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম সেমি-ফাইনালে রান তাড়ায় শুরুতে দুই উইকেট হারানো নিউ জিল্যান্ডকে টানছিলেন কনওয়ে। তৃতীয় উইকেটে ড্যারিল মিচেলের সঙ্গে ৬৭ বলে ৮২ রানের জুটি গড়েন তিনি। দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
কিন্তু তার লড়াই থেমে যায় ৩৮ বলে ৪৬ রান করে। লিয়াম লিভিংস্টোনের বলে স্টাম্পড হওয়ার পর হতাশায় নিজের ব্যাটেই হাত দিয়ে আঘাত করেন তিনি। পরদিন নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট নিশ্চিত করে শুধু ফাইনালেই নয়, আসন্ন ভারত সফরেও খেলা হবে না কনওয়ের।
আসরের শুরুতে অবশ্য রান পেতে ভুগছিলেন কনওয়ে। প্রথম চার ম্যাচে মোট রান ছিল কেবল ৪৭, সর্বোচ্চ ২৭। সুপার টুয়েলভের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দলের বাঁচা-মরার লড়াইয়ে করেন অপরাজিত ৩৬। সেমি-ফাইনালে দলকে গড়ে দেন জয়ের ভিত।
কেবলই হাসতে শুরু করেছিল কনওয়ের ব্যাট। নিজেই থামিয়ে দিলেন সেই হাসি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফাইনালের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে শনিবার উইলিয়ামসন স্বীকার করে নিলেন, মিডল অর্ডার এই ব্যাটসম্যানকে হারানো দলের জন্য বড় ধাক্কা।
“নিশ্চিতভাবে ডেভনকে হারানো অনেক বড় ধাক্কা। সে আমাদের তিন সংস্করণেরই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তাকে হারানো হতাশাজনক এবং ঘটনাটাও অদ্ভুত।”
তবে এই হতাশা নিয়ে বসে থাকলে তো চলবে না। উইলিয়ামসন বললেন, দল এখন তাকিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম শিরোপা ঘরে তোলার দিকে।
“তবে আমাদের এখন কাজ হলো, লক্ষ্যে মনোযোগ ধরে রাখা। দলের সব ক্রিকেটার আগামীকালের সুযোগটা নিয়ে খুবই রোমাঞ্চিত। যেমনটা আমি বলেছি, ভিন্ন প্রতিপক্ষের সঙ্গে ও ভিন্ন ভেন্যুতে নতুন একটি দিনে যা হতে যাচ্ছে, তার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া ও উন্নতির চেষ্টা করছি আমরা।”
কনওয়ের জায়গায় ফাইনালে খেলবেন টিম সাইফার্ট, নিশ্চিত করেছেন উইলিয়ামসন। প্রথমে নিজের চোটের কারণে আর পরে দলের কম্বিনশনের জন্য একাদশে সুযোগ আসেনি সাইফার্টের। আসরে কেবল একটি ম্যাচই খেলতে পেরেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান, পাকিস্তানের বিপক্ষে।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার শিরোপার লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে নিউ জিল্যান্ড। বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় মাঠে গড়াবে তাসমান সাগর পাড়ের দুই দেশের লড়াইটি।