হাসানের ৪ ওভারে ডট বল ছিল কেবল তিনটি। চারটি চারের সঙ্গে হজম করেন একটি ছক্কা। ৪ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে থাকেন উইকেটশূন্য। ব্যাটসম্যানদের ভাবাতে পারেননি একদমই। বোলিংয়ে ব্যর্থতার দিনে শেষ দিকে তিনি ছাড়েন ওয়েডের ক্যাচ।
হাসান ক্যাচ ধরতে পারলে শেষ ৯ বলে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন হতো ২০ রান। এক প্রান্তে মার্কাস স্টয়নিস থাকলেও কঠিন হতে পারত তাদের জয়। কিন্তু জীবন পাওয়ার পরের তিন বলে তিন ছক্কা মেরে এক ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ শেষে করে দেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ওয়েড।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে বাবর আক্ষেপ করলেন ক্যাচটি ফসকে যাওয়ার জন্য। তবে হাসানকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন না তিনি।
“ক্যাচটি হয়ে গেলে, আমার মনে হয়, চিত্রটা ভিন্ন হত। তবে ক্যাচ মিস খেলার অংশ। আমরা ভুল থেকে যত শিখব, আমাদের জন্য তত ভালো হবে। দিন দিন শেখার এবং সেগুলোকে কাজে লাগানোর চেষ্টা থাকবে আমাদের।”
“হাসানের জন্য পাকিস্তান এই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে? আমার তা মনে হচ্ছে না। সে আমার মূল বোলার। পাকিস্তানকে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছে। একজন খেলোয়াড়ের হাত থেকে ক্যাচ ছুটতেই পারে। কিন্তু যেভাবে সে লড়াই করছে, আমি তার পাশে থাকবই। কারণ, সে আমাদের মূল বোলার এবং সব সময় ম্যাচ জিতিয়েছে।”
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মোটেও ভালো কাটেনি ২৭ বছর বয়সী হাসানের। ছয় ম্যাচ মিলিয়ে ২৩ ওভার বোলিং করে উইকেট নিয়েছেন কেবল পাঁচটি। পাকিস্তানের সবচেয়ে খরুচে বোলার তিনিই, ওভার প্রতি দিয়েছেন নয় করে। একাধিক উইকেট পেয়েছেন এমন বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বাজে (৪১.৪০) গড় তার।
তবে পাকিস্তানের বেশ কিছু জয়ের নায়কের উপর আস্থা হারাচ্ছেন না বাবর। অধিনায়কের আশা, শিগগির ছন্দে ফিরবেন এই পেসার।
“হাসান আলিকে আমরা সব সময় সমর্থন দিয়ে আসছি। টুর্নামেন্ট জুড়ে তার আত্মবিশ্বাস বাড়াতে কাজ করেছি। একজন খেলোয়াড়ের জন্য আত্মবিশ্বাস খুব প্রয়োজন। পারফর্ম করতে পারা না পারা কারো হাতে নেই। একজন খেলোয়াড় চেষ্টা করতে পারে, সেটা হাসান করেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা সফল হয়নি। কোনো সমস্যা নাই। আমার ওপর পুরো বিশ্বাস আছে, সামনে সে ভালো করবে।”