অস্ট্রেলিয়া-ল্যাঙ্গারের বিপক্ষে হেইডেনের ‘মনের লড়াই’

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলেছেন বছরের পর বছর। উপহার দিয়েছেন কত না স্মরণীয় ইনিংস! হয়েছেন অনেক জয়ের নায়ক। নিয়তি এবার দেশের বিপক্ষে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে ম্যাথু হেইডেনকে। এক সময় যাদের হয়ে ২২ গজ মাতিয়েছেন, সেই অস্ট্রেলিয়াকে এবার আটকানোর ছক কষতে হচ্ছে তাকে। সাবেক এই ওপেনার যে এখন পাকিস্তানের ব্যাটিং পরামর্শক। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে পাকিস্তান মুখোমুখি হতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Nov 2021, 06:18 PM
Updated : 10 Nov 2021, 06:28 PM

কেবল দেশের বিপক্ষেই নয়, হেইডেন মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন পুরনো বন্ধুরও-তার এক সময়ের ওপেনিং সঙ্গী ও অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারের। সব মিলিয়ে অদ্ভুত এক অনুভূতি কাজ করছে ৫০ বছর বয়সী হেইডেনের মাঝে।

২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন হেইডেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি রান করেছেন ১৫ হাজারের বেশি। ল্যাঙ্গারের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে অনেক সাফল্যের ভিত গড়ে দিয়েছেন। ম্যাচের পর ম্যাচ দুজন মিলে অস্ট্রেলিয়াকে এনে দিয়েছেন দুর্দান্ত শুরু। টেস্ট ইতিহাসে শুরুর জুটিতে তাদের চেয়ে বেশি রান আছে কেবল ওয়েস্ট ইন্ডিজের গর্ডন গ্রিনিজ ও ডেসমন্ড হেইন্স জুটির।

দুবাইয়ে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান। আগের দিন হেইডেন বললেন, লড়াইটা তার মনের সঙ্গেও।

“খুবই অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে। দুই দশকের বেশি সময় ধরে আমি অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের যোদ্ধা ছিলাম।”

১৯৯৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকে দেশের হয়ে হেইডেন খেলেছেন ২০০৯ সাল পর্যন্ত। সেই সময়ের অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের সোনালী সময়ের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের একজন ছিলেন তিনি। জিতেছেন অনেক শিরোপা। সেই সময়ের অভিজ্ঞতা, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটকে ভেতর থেকে দেখার অভিজ্ঞতা এখন কাজে লাগানোর আশায় তিনি।

“এতে শুধু খেলোয়াড়দেরই নয়, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের ভেতরের সংস্কৃতিটাও বোঝার সুযোগ পেয়েছি। আমার জায়গা থেকে দেখলে চ্যালেঞ্জটা হৃদয়ের, আগামী ২৪ ঘণ্টায় যা ঘটবে, সেটা মনের সঙ্গে লড়াই।”

পেশাদার জগতে আবেগে ভেসে যাওয়ার সুযোগ অবশ্য নেই। হেইডেনের কথায়ও ফুটে উঠল তা। পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করতে পেরে গর্বিত তিনি।

“তবে আমি গর্ব নিয়েই বলতে চাই, পাকিস্তান ক্রিকেটের সঙ্গে থাকাটা দারুণ কিছু। আমাদের কয়েকজন অবিশ্বাস্য তরুণ খেলোয়াড় আছে। দারুণ কয়েকজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ও আছে। তারা এবং দল প্রশংসা পাওয়ার মতোই পারফর্ম করছে।”

আরও একজন অস্ট্রেলিয়ান গ্রেটকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করতে দেখে খুশি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চও।

“আমরা গতকাল তাকে দেখেছি। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের গ্রেট খেলোয়াড়রা অন্য দেশে যাচ্ছেন এবং ওই দেশের খেলোয়াড়দের যতটা সম্ভব সাহায্য করছেন, দেখে খুব ভালো লাগছে।”