বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নামিবিয়ার বিপক্ষে ৯ উইকেটের জয় দিয়ে শেষ হয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এবার ভারতের অভিযান। টুর্নামেন্ট থেকে তাদের ছিটকে পড়া নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই।
এই ম্যাচ দিয়ে শেষ হয় টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে কোহলির অধ্যায়ও। বেশ আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, এই বিশ্বকাপ দিয়ে বিদায় জানাবেন টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বকে।
দুবাইয়ে সোমবার নামিবিয়াকে ১৩২ রানে আটকে রাখার পর ভারত উদ্বোধনী জুটিতেই তোলে ৮৬ রান। রোহিত ৩৭ বলে ৫৬ করে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। তিনে নামানো হয় সূর্যকুমারকে। তিনি ও লোকেশ রাহুল বাকি পথ পাড়ি দেন অনায়াসেই। ৩৬ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন রাহুল, ১৯ বলে ২৫ রানে সূর্যকুমার।
ম্যাচের পর কোহলির কাছে ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে জানতে চাইলেন নেতৃত্বের শেষ ম্যাচে ব্যাটিংয়ে না নামার কারণ। নিজের বর্তমানকে প্রাধান্য না দিয়ে তিনি ভেবেছেন তরুণ এক ক্রিকেটারের ভবিষ্যৎ।
“সুর্য (সূর্যকুমার যাদব) এই বিশ্বকাপে খুব বেশি গেমটাইম পায়নি। দিনশেষে এটা তো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ! আমার মনে হলো, ওর জন্য এটা দারুণ এক স্মৃতি হবে। এর আগে স্রেফ দুটি ইনিংস খেলেছে বিশ্বকাপে। একটি খেলল শুরুতে, ভালো করতে পারেনি। এরপরই চোটে পড়ে গেল। ফেরার পর আফগানিস্তানের সঙ্গে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেল না।”
“আমি জানি, তরুণ ক্রিকেটার হিসেবে সবাই চায়, বিশ্বকাপ থেকে কোনো সুখস্মৃতি নিয়ে ফিরতে। ওকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর কারণ ছিল এটিই।”