গত ২৪ অক্টোবর সেই ম্যাচে দুর্দান্ত এক প্রথম স্পেলে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের ভিত নাড়িয়ে দেন আফ্রিদি। দুর্দান্ত দুটি ডেলিভারিতে রোহিত শর্মাকে তিনি আউট করেন প্রথম ওভারেই। পরে আরেকটি দারুণ ডেলিভারিতে উড়িয়ে দেন লোকেশ রাহুলের বেলস। পাকিস্তানের ১০ উইকেটের জয়ে সেদিন ম্যাচ সেরা হন এই বাঁহাতি ফাস্ট বোলারই।
সুপার টুয়েলভের পাঁচ ম্যাচের সবকটিই জিতে গ্রুপ সেরা হওয়ার পর বাবর আইসিসি ডিজিটালে আলাপচারিতায় বললেন, আফ্রিদির ওই দুটি ডেলিভারিই টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের সুর বেঁধে দিয়েছে।
“হ্যাঁ, একদম (এই দুটি ডেলিভারি দলকে ছন্দ দিয়েছে)…যেভাবে শাহিন শাহ আফ্রিদি ওই দুটি আউট করেছে, অসাধারণ ছিল। আমাদের পরিকল্পনাই ছিল এমন যে রোহিত শর্মাকে ফুল লেংথ বল করা হবে। আর রাহুলকে বোল্ড করা ডেলিভারি তো দুর্দান্ত ছিল, বল পিচ করে ভেতরে ঢোকে। সত্যিকারের এক ফাস্ট বোলারের ডেলিভারি… ওই ডেলিভারিতে আমার ওয়াসিম আকরামকে মনে পড়েছে।”
পাকিস্তানের এই দলটাকে অতীতের অনেক দল থেকেই আলাদা মনে হচ্ছে একটি জায়গায়। আগেও দুর্দান্ত সব দল থাকলেও ধারাবাহিকতা পাকিস্তান ক্রিকেটে দেখা গেছে খুব কম সময়ই। কিন্তু এই দলটা এগিয়ে চলেছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এবং দারুণ ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে। বাবর বললেন, এই দলের মূল শক্তি একতা।
“যেভাবে একতাবদ্ধ আছে দল, পাকিস্তানে ক্যাম্প থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত, এটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চেষ্টা করেছি, যে দলটা খেলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলেছে যারা (২০১৭ সালে), ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলেছে, প্রায় ওই দলটাকেই ধরে রাখা হয়েছে। একসঙ্গে অনেকদিন খেললে, একতাবদ্ধ হয়ে থাকলে, অধিনায়কের কাজ সহজ হয়ে ওঠে।”
পাকিস্তানের পরের চ্যালেঞ্জ এখন সেমি-ফাইনাল, দুবাইয়ে তারা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়বে বৃহস্পতিবার।