আফ্রিদিকে দেখে বাবরের মনে পড়ছে ওয়াসিম আকরামকে

বাঁহাতি পেস বোলিংয়ের শেষ কথা মানা হয় ওয়াসিম আকরামকে। তার সঙ্গে কোনোদিক থেকে তুলনায় আসা মানে যে কোনো বাঁহাতি পেসারের জন্য দারুণ এক স্বীকৃতি। শাহিন শাহ আফ্রিদিকে এবার সেই সম্মানই দিলেন বাবর আজম। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে আফ্রিদির বোলিং দেখে পাকিস্তান অধিনায়কের মনে পড়েছে কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরামকে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Nov 2021, 05:54 AM
Updated : 8 Nov 2021, 05:54 AM

গত ২৪ অক্টোবর সেই ম্যাচে দুর্দান্ত এক প্রথম স্পেলে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের ভিত নাড়িয়ে দেন আফ্রিদি। দুর্দান্ত দুটি ডেলিভারিতে রোহিত শর্মাকে তিনি আউট করেন প্রথম ওভারেই। পরে আরেকটি দারুণ ডেলিভারিতে উড়িয়ে দেন লোকেশ রাহুলের বেলস। পাকিস্তানের ১০ উইকেটের জয়ে সেদিন ম্যাচ সেরা হন এই বাঁহাতি ফাস্ট বোলারই।

সুপার টুয়েলভের পাঁচ ম্যাচের সবকটিই জিতে গ্রুপ সেরা হওয়ার পর বাবর আইসিসি ডিজিটালে আলাপচারিতায় বললেন, আফ্রিদির ওই দুটি ডেলিভারিই টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের সুর বেঁধে দিয়েছে।

“হ্যাঁ, একদম (এই দুটি ডেলিভারি দলকে ছন্দ দিয়েছে)…যেভাবে শাহিন শাহ আফ্রিদি ওই দুটি আউট করেছে, অসাধারণ ছিল। আমাদের পরিকল্পনাই ছিল এমন যে রোহিত শর্মাকে ফুল লেংথ বল করা হবে। আর রাহুলকে বোল্ড করা ডেলিভারি তো দুর্দান্ত ছিল, বল পিচ করে ভেতরে ঢোকে। সত্যিকারের এক ফাস্ট বোলারের ডেলিভারি… ওই ডেলিভারিতে আমার ওয়াসিম আকরামকে মনে পড়েছে।”

“ওয়াসিম ভাই যেভাবে বল ভেতরে আনতেন, সেরকমই। শাহিন শাহ আফ্রিদির বোলিং এরকমই দারুণ ছিল। প্রতিপক্ষের মূল ব্যাটসম্যানদের যখন শুরুতেই আউট করে দেওয়া যায়, দল হিসেবেও তখন আত্মবিশ্বাস মেলে। সেখান থেকে বিশ্বাস পেয়ে বোলাররা সবাই ভালো করেছে, ফিল্ডিংও ভালো হয়েছে। সমন্বিত পারফরম্যান্স দেখাতে পারছি আমরা।”

পাকিস্তানের এই দলটাকে অতীতের অনেক দল থেকেই আলাদা মনে হচ্ছে একটি জায়গায়। আগেও দুর্দান্ত সব দল থাকলেও ধারাবাহিকতা পাকিস্তান ক্রিকেটে দেখা গেছে খুব কম সময়ই। কিন্তু এই দলটা এগিয়ে চলেছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এবং দারুণ ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে। বাবর বললেন, এই দলের মূল শক্তি একতা।

“যেভাবে একতাবদ্ধ আছে দল, পাকিস্তানে ক্যাম্প থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত, এটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চেষ্টা করেছি, যে দলটা খেলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলেছে যারা (২০১৭ সালে), ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলেছে, প্রায় ওই দলটাকেই ধরে রাখা হয়েছে। একসঙ্গে অনেকদিন খেললে, একতাবদ্ধ হয়ে থাকলে, অধিনায়কের কাজ সহজ হয়ে ওঠে।”

পাকিস্তানের পরের চ্যালেঞ্জ এখন সেমি-ফাইনাল, দুবাইয়ে তারা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়বে বৃহস্পতিবার।