৬ ছক্কায় দ্রুততম ফিফটিতে সেরা মালিক

স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ দিকে ব্যাট হাতে কী তাণ্ডবটাই না চালালেন শোয়েব মালিক! গড়লেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। জিতে নিলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Nov 2021, 08:10 PM
Updated : 7 Nov 2021, 08:10 PM

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভের ম্যাচে রোববার শারজাহতে পাকিস্তানের ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ১৮ বলে ফিফটি করেন মালিক। ৬ ছক্কা ও একটি চারে অপরাজিত থাকেন ৫৪ রানে।

এই সংস্করণে দেশটির হয়ে এতদিন দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড ছিল উমর আকমলের। ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২১ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেছিলেন তিনি।

মালিকের ১৮ বলে ফিফটি এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যৌথভাবে দ্রুততম। গত শুক্রবার স্কটিশদের বিপক্ষেই তা করেন ভারতের লোকেশ রাহুল।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ও বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড ভারতের যুবরাজ সিংয়ের, ২০০৭ আসরে ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রডের এক ওভারে ছয় ছক্কা মারার ম্যাচে ১২ বলে ফিফটি করেছিলেন তিনি।

মোহাম্মদ হাফিজের বিদায়ের পর ১৬তম ওভারের শুরুতে উইকেটে যান মালিক। পরের ওভারে তিনি বাঁহাতি স্পিনার মার্ক ওয়াটের বলে হাঁটু গেড়ে বিশাল ছক্কা মারেন লং অফ দিয়ে।

বড় বড় সব ছক্কা মারেন শোয়েব মালিক। ছবি: আইসিসি

শেষের আগের ওভারে দুটি ছক্কা মারেন পেসার সাফিয়ান শারিফকে। প্রথমটি ডিপ মিড উইকেটের ওপর দিয়ে গিয়ে পড়ে গ্যালারিতে। পরেরটি মারেন লং অন দিয়ে।

শেষ ওভারের আগে মালিকের রান ছিল ১৪ বলে ৩২। এই ওভারে বড় ঝড়টা বয়ে যায় ক্রিস গ্রিভসের ওপর দিয়ে। এই লেগ স্পিনারের শেষ চার বলে মালিক মারেন একটি চার ও তিনটি ছক্কা। সবগুলোই আছড়ে পড়ে গ্যালারিতে।

বাবর আজমের ৬৬, হাফিজের ১৯ বলে ৩১ ও মালিকের ৫৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে পাকিস্তান পায় ১৮৯ রানের বড় পুঁজি। স্কটল্যান্ড থমকে যায় ১১৭ রানেই। টানা পাঁচ জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় আগেই সেমি-ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করা পাকিস্তান।

এই বিশ্বকাপে শুরুতে ঘোষিত পাকিস্তান দলে ছিলেন না মালিক। পরে যখন দলে পরিবর্তন আনা হয়, সুযোগ পাননি তখনও। অথচ ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে দারুণ পারফর্ম করেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সোহেব মাকসুদ চোটের কারণে ছিটকে পড়ায় বদলি হিসেবে নেওয়া হয় মালিককে।

৩৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার নিউ জিল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ে শেষ দিকে ব্যাট হাতে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। এবার ঝড় তুলে করলেন ফিফটি। যা তাকে এই সংস্করণে ষষ্ঠবারের মতো এনে দিল ম্যাচ সেরার পুরস্কার।