অবসর নিয়ে ভাবছেন না মালিক

আর মাস তিনেক পরই বয়স হবে ৪০ বছর। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের বয়সও হতে চলেছে ২২। কিন্তু শোয়েব মালিক এখনও ছুটে চলেছেন আপন পথে। দীর্ঘ এক ভ্রমণ। সেই পথচলার শেষ গন্তব্য নিয়ে এখনই ভাবছেন না পাকিস্তানের অভিজ্ঞ এই সৈনিক।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Nov 2021, 06:15 AM
Updated : 2 Nov 2021, 06:17 AM

অবসরের প্রশ্ন অবশ্য গত কয়েক বছরে অনেকবারই শুনতে হয়েছে মালিককে। তার উত্তরও প্রায় একইরকম রয়ে গেছে। এমনকি এই বিশ্বকাপের আগেও তার ক্যারিয়ারের শেষ দেখে ফেলেছিলেন অনেকে। দলের বাইরে রাখা হয়েছে তাকে এক বছর ধরে।

এই বিশ্বকাপেও শুরুতে ঘোষিত দলে তিনি ছিলেন না। পরে যখন বিশ্বকাপ দলে পরিবর্তন আনা হয়, সুযোগ পাননি তখনও। অথচ ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে দারুণ পারফর্ম করেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সোহেব মাকসুদ চোটের কারণে ছিটকে পড়ায় বদলি হিসেবে নেওয়া হয় মালিককে।

তাকে নেওয়ার সুফল এর মধ্যেই পেয়ে গেছে পাকিস্তান। নিউ জিল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ে শেষ দিকে ব্যাট হাতে রাখেন তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান।

ব্যাটে রান থাকলেও বয়সের কারণেই হয়তো তার অবসরের প্রসঙ্গ উঠল আবার। অনেক সময় বিশ্ব আসরকে বিদায়ের মঞ্চ বানান অনেক ক্রিকেটারই। ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকা নানা সময়ে বলেছেন, অবসরের আগে আরেকটি বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে চান। দারুণ ছন্দে থাকা পাকিস্তানের এবার সুযোগ আছে ভালোমতোই।

তবে নামিবিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে মালিক বললেন, এখনও তিনি ভাবছেন না বিদায় নিয়ে।

“এখন একটা টুর্নামেন্টের ভেতর আছি, অবসর নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবতেও চাই না। আমার পুরো মনোযোগ পরের ম্যাচগুলোয় এবং এই বিশ্বকাপে।”

দুই দশকের বেশি পথচলায় পাকিস্তান ক্রিকেটে নানা রূপ দেখেছেন মালিক। খেলেছেন নানা সময়ে, অংশ নিয়েছে বেশ কটি বিশ্বকাপে। এবারের দলটি মালিকের কাছে বিশেষ হয়ে উঠেছে টিম স্পিরিটের দিক থেকে।

“আমি দলে যোগ দেওয়ার পর থেকে, লাহোরে দলের অনুশীলন সেশন থেকে এখন পর্যন্ত, দলটি যেভাবে চাপ সামলেছে, এটা অসাধারণ। আমার কাছে এই দলের সবচেয়ে বড় ব্যাপার, ড্রেসিং রুমে ধারাবাহিকতা। সবাই পরস্পরকে সহায়তা করছে, পাশে থাকছে।”

“এটা দলীয় খেলা। সতীর্থদের পাশে পেলে, ম্যানেজমেন্টের সমর্থন পেলে কাজ সহজ হয়ে ওঠে। এই দলে আমি এই সবকিছুই দেখছি।”

বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচেই জয়ী পাকিস্তান মঙ্গলবার খেলবে লড়বে নামিবিয়ার বিপক্ষে।