মাকে ভেন্টিলেটরে রেখে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেন বাবর

মা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে। এক পর্যায়ে অবস্থা এতটা গুরুতর হয়ে পড়ে যে, ভেন্টিলেটরে নিতে হয় তাকে। সেই খবর জেনেই ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপের ম্যাচে খেলতে নামেন বাবর আজম। মা যখন জীবন বাঁচাতে লড়ছেন হাসপাতালে, ছেলে তখন দেশের জয়ে লড়ছেন মাঠে। শেষ পর্যন্ত জিতে যান দুজনই। মা এখন অনেকটাই বিপদমুক্ত। ছেলেও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে সেদিন দলকে জয় এনে দেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিদের বিপক্ষে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Oct 2021, 06:59 AM
Updated : 31 Oct 2021, 08:32 AM

পরিবারের সেই কঠিন পরীক্ষার কথা এতদিনে জানালেন বাবর আজমের বাবা আজম সিদ্দিকি।

গত ২৪ অক্টোবর বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পরস্পরের মুখোমুখি হয় ভারত ও পাকিস্তান। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিলিয়ে ১৩ বারের চেষ্টায় সেদিন প্রথমবার ভারতকে হারায় পাকিস্তান। ১০ উইকেটের দুর্দান্ত জয়ে বাবর খেলেন ৬৮ রানের অপরাজিত ইনিংস।

এরপর নিউ জিল্যান্ড ও আফগানিস্তানকেও হারিয়ে পাকিস্তান এখন সুপার টুয়েলভে দুই নম্বর গ্রুপের শীর্ষে।

জয় পাওয়া এই তিনটি ম্যাচেই বাবরকে প্রচণ্ড মানসিক চাপ নিয়ে খেলতে হয়েছে, ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বললেন তার বাবা আজম সিদ্দিকি।

“আমার দেশের কিছু সত্য জানার সময় হয়েছে এখন। তিনটি ম্যাচই জয়ের জন্য সবাইকে অভিনন্দন। আমাদের বাড়িতে একটি বড় পরীক্ষা ছিল। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের দিন বাবরের মা ছিল ভেন্টিলেটরে। বাবর তিনটি ম্যাচই খেলেছে প্রচণ্ড মানসিক যন্ত্রণা নিয়ে। আমার এখানে (দুবাইয়ে) আসার কথা ছিল না। বাবর যেন দুর্বল হয়ে না পড়ে, স্রেফ এজন্যই এসেছি।”

“আল্লাহর রহমতে সে (বাবরের মা) এখন ভালো। এটা এই কারণে এখন খোলাসা করছি যে, জাতীয় নায়কদের যেন আমরা কোনো কারণ ছাড়া সমালোচনা না করি।”

তিন ম্যাচের দুটিতেই বাবর করেন ফিফটি। পাকিস্তানের পরের দুই ম্যাচ নামিবিয়া ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। সেমি-ফাইনাল তাই অনেকটাই নিশ্চিত বলা যায় বাবরদের।

পরে একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইটকে আজম জানান, কঠিন এই সময়ে ছেলের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করছেন তিনি। ক্রিকেটাররা জৈব-সুরক্ষা বলয়ে থাকায় এমনিতে বাইরের কারও সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ নেই। তবে নিরাপদ দূরত্ব থেকে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে পাকিস্তানের বোর্ডের কাছে আবেদন করেছেন বাবরের বাবা।