‘ইচ্ছে করে তো আর মন্থর ব্যাটিং করিনি’

সাকিব আল হাসান ২৮ বলে ২০। দুই ছক্কা ও এক চার মেরেও মুশফিকুর রহিম ৩৬ বলে ৩৮। এক ছক্কা ও এক চারে মাহমুদউল্লাহ ২২ বলে ২৩। টি-টোয়েন্টিতে যে কোনো উইকেটে, যে কোনো প্রেক্ষাপটেই এই সংখ্যাগুলো বেমানান। দল হারার পর তাদের দিকে আঙুল ওঠাও স্বাভাবিক। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ অবশ্য অভিমানের সুরে বললেন, ইচ্ছে করে তো আর তারা অমন ব্যাটিং করেননি!

ক্রীড়া প্রতিবেদকমাসকাট থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Oct 2021, 08:23 AM
Updated : 18 Oct 2021, 08:23 AM

স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জিততে ওভারপ্রতি সাত রান করে তুললেই চলত বাংলাদেশের। ওমান ক্রিকেট একাডেমি মাঠের দারুণ ব্যাটিং উইকেটে কাজটি খুব কঠিন হওয়ার কথা ছিল না। স্কটল্যান্ড দলে তো আর বিশ্বসেরা কোনো বোলার বা ভয়ঙ্কর কোনো অস্ত্র নেই! বাংলাদেশ দলও অনেক অভিজ্ঞ।

তার পরও রান তাড়ায় খেই হারায় বাংলাদেশ। দুই ওপেনারের দ্রুত বিদায়ের পর সাকিব ও মুশফিকের জুটির সময়ই মূলত প্রয়োজনীয় রান রেট ক্রমশ বাড়তে থাকে। সাত থেকে আট, নয়ে উঠে যায় তা। অনেক লড়াইয়ের অভিজ্ঞ দুই সৈনিকের নেতিয়ে পড়া ব্যাটিং আর মানসিকতায় জুটিতে ৪৬ বলে রা আসে কেবল ৪৭।

এরপর মাহমুদউল্লাহ নেমেও রানের গতিতে পারেননি দম দিতে। উল্টো আরও বাড়িয়ে দেন চাপ। এক পর্যায়ে তার রান ছিল ১৫ বলে ১০। পরে একটি ছক্কা ও চার মেরেও পুষিয়ে দিতে পারেননি অধিনায়ক। বরং আউট হয়ে যান দলকে পরাজয়ের কিনারে ঠেলে।

ম্যাচের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠল তাদের ব্যাটিংয়ের ধরন নিয়ে। অধিনায়কের অবশ্য তা ভালো লাগল মনে হলো না।

“আমরা তো আর ইচ্ছে করে মন্থর ব্যাটিং করিনি। সম্ভবত যে বাউন্ডারি মারতে চাচ্ছিলাম, সেগুলো মারতে পারিনি। পরেরবার চেষ্টা করব আরও ভালো করে যেন ব্যাটিং করতে পারি।”

দলের ব্যাটিং যে ভালো হয়নি, এটা অবশ্য স্বীকার করলেন অধিনায়ক। বারবারই তিনি পরাজয়ের কারণ হিসেবে বললেন ব্যাটিং ব্যর্থতার কথা।

“ব্যাটিংয়ে প্রথম ৬ ওভারে আমরা ওরকম রান করতে পারিনি। এটা এমন একটা জায়গা, আমরা চেয়েছিলাম যেন পাওয়ার প্লেটা কাজে লাগাতে পারি। ১৪০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে হলে ভালো একটা শুরু প্রয়োজন। পরে মুশফিক, সাকিব কিছুটা কিছুটা রিকভারি করেছিল। কিন্তু মাঝের ওভারগুলোতে আমরা ভালো করতে পারিনি। উইকেট ভালো ছিল কিন্তু আমরা ব্যাটিং করতে পারিনি।”

“হয়তো এই ভাবনাটা ছিল যে, আমরা যদি স্পিনারদের অ্যাটাক করতে পারি, কিছু বড় রানের ওভার যদি নিতে পারি, তাহলে হয়তো রান রেটটা আমাদের নাগালের ভেতরেই থাকত। কিন্তু মাঝখানে আমরা উইকেট হারিয়েছি। বড় রানের ওভারগুলো নিতে পারিনি। এই কারণে আস্তে আস্তে ম্যাচ থেকে বেরিয়ে গেছি।”