ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৮৬ রানে হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
Published : 09 Oct 2024, 06:51 PM
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ২২১/৯
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৩৫/৯
রেকর্ড জয়ে সিরিজ জিতল ভারত
পরপর দুই ম্যাচে একই চিত্রনাট্য। ব্যাটিং-বোলিংয়ে ভারতের দাপট আর দুই বিভাগেই বাংলাদেশের হতশ্রী পারফরম্যান্স। ফলাফলও তাই অভিন্ন। ৮৬ রানের জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিল ভারত।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে রানের হিসেবে এটিই ভারতের সবচেয়ে বড় জয়। আর সব মিলিয়ে এর চেয়ে বড় জয় আছে আর মাত্র দুটি।
২২২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৯ উইকেটে ১৩৫ রান করতে পেরেছে বাংলাদেশ। ৩৯ বল খেলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। আর কেউ ২০ রানও করতে পারেনি।
ভারতের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন নিতিশ কুমার রেড্ডি ও ভারুন চক্রবর্তী।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ২০ ওভারে ২২১/৯ (স্যামসন ১০, আভিশেক ১৫, সুরিয়াকুমার ৮, নিতিশ ৭৪, রিঙ্কু ৫৩, পান্ডিয়া ৩২, পারাগ ১৫, সুন্দার ০*, ভারুন ০, আর্শদিপ ৬, মায়াঙ্ক ১*; মিরাজ ৩-০-৪৬-০, তাসকিন ৪-০-১৬-২, তানজিম ৪-০-৫০-২, মুস্তাফিজ ৪-০-৩৬-২, রিশাদ ৪-০-৫৫-৩, মাহমুদউল্লাহ ১-০-১৫-০)
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৩৫/৯ (পারভেজ ১৬, লিটন ১৪, শান্ত ১১, হৃদয় ও, মিরাজ ১৬, মাহমুদউল্লাহ ৪১, জাকের ১, রিশাদ ৯, তানজিম ৮, তাসকিন ৫*, মুস্তাফিজ ১*; আর্শদিপ ৩-০-২৬-১, নিতিশ ৪-০-২৩-২, সুন্দার ১-০-৪-১, ভারুন ৪-০-১৯-২, আভিশেক ২-০-১০-১, মায়াঙ্ক ৪-০-৩০-১, পারাগ ২-০-১৬-১)
নিতিশের দ্বিতীয় শিকার মাহমুদউল্লাহ
শেষ ওভারের প্রথম বল ছক্কায় ওড়াতে গিয়ে কোনোমতে ত্রিশ গজ পার করতে পারলেন মাহমুদউল্লাহ। লং অফ থেকে অনেকটা ভেতরে দৌড়ে সহজ ক্যাচ নিলেন রিয়ান পারাগ। ৩ ছক্কায় ৩৯ বলে ৪১ রান করে ফিরলেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
ভারতের ব্যর্থ রিভিউ
আর্শদিপ সিংয়ের ফুল লেংথ ডেলিভারি মাহমুদউল্লাহর প্যাডে লাগতেই জোরাল আবেদন। সাড়া দিলেন না আম্পায়ার। কিছুক্ষণ ভেবে রিভিউ নিলেন সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ। রিপ্লেতে দেখা যায়, লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচ করেছে বল। তাই বৃথা যায় ভারতের রিভিউ।
১৯ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১২৭ রান। মাহমুদউল্লাহ ৩৮ বলে ৪১ ও তাসকিন আহমেদ ৪ বলে ২ রানে অপরাজিত।
তানজিমকে ফেরালেন নিতিশ
নিতিশ কুমার রেড্ডির বল লং অফ দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে সীমানায় ধরা পড়লেন তানজিম হাসান। ১০ বলে ৮ রান করে ফিরে গেলেন তিনি।
১৮ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১২২ রান। নতুন ব্যাটসম্যান তাসকিন আহমেদ। ৩৫ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত মাহমুদউল্লাহ।
১৫ ওভারে বাংলাদেশের একশ
মায়াঙ্ক ইয়াদাভের শর্ট বল ছক্কায় ওড়ালেন মাহমুদউল্লাহ। ধুঁকতে ধুঁকতে ১৫তম ওভারে ১০০ রান পূর্ণ করল বাংলাদেশ।
১৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১০২ রান। মাহমুদউল্লাহ ২৫ বলে ২৯, তানজিম হাসান ৩ বলে ১ রানে অপরাজিত।
পান্ডিয়ার দুর্দান্ত ক্যাচে রিশাদের বিদায়
ভারুন চক্রবর্তীর অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি স্লগ করলেন রিশাদ হোসেন। কিন্তু দূরত্ব পার করতে পারলেন না। ডিপ মিড উইকেটে অনেকটা দৌড়ে বাম দিকে ঝাঁপিয়ে অসাধারণ ক্যাচ নিলেন হার্দিক পান্ডিয়া।
২ চারে ১০ বলে ৯ রান করে আউট হলেন রিশাদ। নতুন ব্যাটসম্যান তানজিম হাসান। ১৯ বলে ২১ রানে অপরাজিত মাহমুদউল্লাহ।
১৩.৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৯৩ রান।
টিকলেন না জাকের
পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট হারাল বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজের পর ফিরলেন জাকের আলি। মায়াঙ্ক ইয়াদাভের বলে ডিপ স্কয়ার লেগে ধরা পড়লেন ২ বলে ১ রান করা জাকের।
১২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৮৭ রান। নতুন ব্যাটসম্যান রিশাদ হোসেন। ১৮ বলে ২০ রানে অপরাজিত মাহমুদউল্লাহ।
শেষ ৮ ওভারে প্রয়োজন ১৩৫ রান।
ছক্কার চেষ্টায় মিরাজের অক্কা
১১তম ওভারে আক্রমণে এসে আঘাত করলেন রিয়ান পারাগ। ওভারের শেষ বল ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় লং অফে ধরা পড়লেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১ চারে ১৬ বলে ১৬ রান করে ফিরলেন তিনি।
নতুন ব্যাটসম্যান জাকের আলি। ১৬ বলে ১৮ রানে অপরাজিত মাহমুদউল্লাহ।
১১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৮০ রান।
অষ্টম ওভারে বাংলাদেশের পঞ্চাশ
বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় ধুঁকছে বাংলাদেশ। পঞ্চাশ রান করতে তাদের খেলতে হয়েছে অষ্টম ওভার পর্যন্ত। ভারুন চক্রবর্তীর বলে বাউন্ডারি মেরে দলের পঞ্চাশ রান পূর্ণ করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
৮ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৫৪ রান। মিরাজ ৯ বলে ১০ ও মাহমুদউল্লাহ ৩ বলে ১ রানে অপরাজিত।
হৃদয়কে ফেরালেন আভিশেক
সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে এসেই আঘাত করলেন ভারতের অনিয়মিত স্পিনার আভিশেক শার্মা। বাঁহাতি স্পিনারের পঞ্চম বল স্টাম্পে টেনে এনে বোল্ড হলেন তাওহিদ হৃদয়। ৬ বলে ২ রান করেন তিনি।
৭ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৪৬ রান। ক্রিজে দুই নতুন ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ।
ভারতের ব্যর্থ রিভিউ, পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেটে ৪৩
পাওয়ার প্লের শেষ বলে তাওহিদ হৃদয়ের বিপক্ষে এলবিডব্লিউর জোরাল আবেদন করলেন ভারুন চক্রবর্তী। সাড়া দিলেন না আম্পায়ার। একদম শেষ মুহূর্তে রিভিউ নিলেন সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ।
রিপ্লেতে দেখা যায়, ব্যাটে লেগেছিল হৃদয়ের। তাই বৃথা যায় ভারতের রিভিউ।
৬ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪৩ রান। বাকি ১৪ ওভারে প্রয়োজন ১৭৯ রান।
প্রথম বলেই ভারুনের শিকার লিটন
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আক্রমণে এসেই আঘাত করলেন ভারুন চক্রবর্তী। প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে গেলেন লিটন কুমার দাস। ১ ছক্কায় ১১ বলে ১৪ রান করেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।
৫.১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪২ রান। ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয় ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
শান্তকে ফেরালেন সুন্দার
পরপর দুই চারে ভালো শুরু করলেও এগোতে পারলেন না নাজমুল হোসেন শান্ত। পঞ্চম ওভারে ওয়াশিংটন সুন্দারের বল ছক্কায় ওড়াতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দিলেন ৭ বলে ১১ রান করা বাংলাদেশ অধিনায়ক।
৪.৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৪০ রান। নতুন ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয়। ৮ বলে ১৩ রানে অপরাজিত লিটন কুমার দাস।
অল্পেই ফিরলেন পারভেজ
প্রথম ওভারে আর্শদিপ সিংয়ের বলে ৩টি চার মেরে ভালো কিছুর আভাস দিয়েছিলেন পারভেজ হোসেন। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না বাঁহাতি ওপেনার। আর্শদিপের পরের ওভারে স্টাম্পে বল টেনে এনে ফিরলেন তিনি।
৩ চারে ১২ বলে ১৬ রান করেন পারভেজ।
ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম বলেই ফাইন লেগ দিয়ে চার মারেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। পরের বল দারুণ পুল শটে মারেন আরেকটি বাউন্ডারি।
৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৯ রান। লিটন কুমার দাস ৩ বলে ৪ রানে অপরাজিত।
২২২ রানের লক্ষ্য পেল বাংলাদেশ
শেষ ওভারে এক ছক্কা হজম করলেও মাত্র ৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট পেলেন রিশাদ হোসেন। অল্পের জন্য বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়তে পারল না ভারত। ৯ উইকেটে ২২১ রানে থামল তারা।
পচেফস্ট্রুমে ২০১৭ সালে ৪ উইকেটে ২২৪ রান করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
ভারতকে দুইশ ছাড়ানোর কারিগর নিতিশ কুমার রেড্ডি ও রিঙ্কু সিং। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দুজন মিলে গড়ে তোলেন ৪৯ বলে ১০৮ রানের জুটি। নিতিশ ৪ চার ও ৭ ছক্কায় ৩৪ বলে ৭৪ রান করেন। রিঙ্কুর ব্যাট থেকে আসে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ২৯ বলে ৫৩ রান।
অথচ মাত্র ৪১ রানে ৩ উইকেট তুলে ভালো কিছুর আভাস দিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু পরে আর সেই ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি সফরকারীরা।
ব্যাটসম্যানদের ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ের ইনিংসে ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রানে ২ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। আর কোনো বোলার ওভারপ্রতি ৯ রানের কম দেননি।
সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে ৫৫ রান দেন রিশাদ। এছাড়া অন্য দুই পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও তানজিম হাসান নেন ২টি করে উইকেট।
তিন পেসার মিলে ১২ ওভারে ১০২ রানে নেন ৬ উইকেট। আর স্পিনারদের ৮ ওভারে ৩ উইকেটের জন্য খরচ ১১৬ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ২০ ওভারে ২২১/৯ (স্যামসন ১০, আভিশেক ১৫, সুরিয়াকুমার ৮, নিতিশ ৭৪, রিঙ্কু ৫৩, পান্ডিয়া ৩২, পারাগ ১৫, সুন্দার ০*, ভারুন ০, আর্শদিপ ৬, মায়াঙ্ক ১*; মিরাজ ৩-০-৪৬-০, তাসকিন ৪-০-১৬-২, তানজিম ৪-০-৫০-২, মুস্তাফিজ ৪-০-৩৬-২, রিশাদ ৪-০-৫৫-৩, মাহমুদউল্লাহ ১-০-১৫-০)
রিশাদের তৃতীয় শিকার আর্শদিপ
ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বলেই ছক্কা মারলেন আর্শদিপ সিং। পরের বল আবারও ছক্কায় ওড়াতে গিয়ে হাওয়ায় ভাসিয়ে ক্যাচ দিলেন নিচের সারির ব্যাটসম্যান। শেষ ওভারে ৩ উইকেট পেলেন রিশাদ হোসেন।
তিন বলে দুই উইকেট নিলেন রিশাদ
প্রথম তিন ওভারে ৪৭ রান খরচার পর শেষ ওভারের প্রথম তিন বলে দুই উইকেট নিলেন রিশাদ হোসেন। প্রথম বল ছক্কায় ওড়াতে গিয়ে কভারে ক্যাচ দেন ১৯ বলে ৩২ রান করা হার্দিক পান্ডিয়া। এক বল পর লং অফে ধরা পড়েন ভারুন চক্রবর্তী।
পারাগকে ফেরালেন তানজিম
তানজিম হাসানের ব্যাক অব দা হ্যান্ড স্লোয়ার ডেলিভারি ছক্কায় ওড়ালেন রিয়ান পারাগ। পরে গতিময় ফুল লেংথ ডেলিভারিতেও মারলেন ছক্কা। পরের বল আবার স্লোয়ার করলেন তানজিম। টানা তৃতীয় ছক্কার চেষ্টায় লং অনে ধরা পড়লেন পারাগ।
২ ছক্কায় ৬ বলে ১৫ রান করেন পারাগ। নতুন ব্যাটসম্যান ওয়াশিংটন সুন্দার।
১৯ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২১৩ রান। হার্দিক পান্ডিয়া ১৮ বলে ৩২ রানে অপরাজিত।
রিঙ্কুকে ফেরালেন তাসকিন
পুরো স্পেলে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পুরস্কার পেলেন তাসকিন আহমেদ। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে ছক্কা মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিলেন রিঙ্কু সিং। ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ২৯ বলে ৫৩ রান করেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
১৭ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৮৫ রান। নতুন ব্যাটসম্যান রিয়ান পারাগ। ১২ বলে ১৯ রানে অপরাজিত হার্দিক পান্ডিয়া।
৪ ওভারে মাত্র ১৬ রানে ২ উইকেট নিলেন তাসকিন।
২৬ বলে রিঙ্কুর ফিফটি
তানজিম হাসানের পরপর দুই বলে বাউন্ডারি পর ছক্কা মারলেন রিঙ্কু। মাত্র ২৬ বলে তিনি পৌঁছে গেলেন পঞ্চাশে। ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি ছুঁতে ৫ চারের সঙ্গে ৩টি ছক্কা মারেন তরুণ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
১৬ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৮২ রান। রিঙ্কু ২৬ বলে ৫৩ ও হার্দিক পান্ডিয়া ৯ বলে ১৬ রানে অপরাজিত।
নিতিশের ঝড় থামালেন মুস্তাফিজ
জীবন পেয়ে তাণ্ডব চালাতে থাকা নিতিশ কুমার রেড্ডির বিদায়ঘণ্টা বাজালেন মুস্তাফিজুর রহমান। স্টাম্পের ওপর করা স্লোয়ার ডেলিভারি অন সাইডে বড় শটের চেষ্টায় টাইমিং করতে পারেননি নিতিশ।
হাওয়ায় ভেসে যাওয়া বল এক্সট্রা কভারে সহজ ক্যাচ নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৪ চার ও ৭ ছক্কায় মাত্র ৩৪ বলে ৭৪ রান করে ফেরেন নিতিশ।
১৪ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৫২ রান। নতুন ব্যাটসম্যান হার্দিক পান্ডিয়া। রিঙ্কু সিং ২১ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত।
রিঙ্কু-নিতিশ জুটির একশ
শুরুর ধাক্কা সামলে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালেন নিতিশ কুমার রেড্ডি ও রিঙ্কু সিং। মাত্র ৪৫ বলে ১০০ রানের জুটি গড়লেন তারা দুজন।
১৩ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৪৮ রান। নিতিশ-রিঙ্কুর জুটির সংগ্রহ ৪৬ বলে ১০৭ রান।
মেহেদী হাসান মিরাজের করা ১৩তম ওভারে ৩ ছক্কার সঙ্গে ১ চারে ২৬ রান নেয় ভারত।
রিঙ্কু ১৯ বলে ৩৫ ও নিতিশ ৩২ বলে ৭৪ রানে অপরাজিত।
২৭ বলে নিতিশের ফিফটি
দুইবার বেঁচে গিয়ে সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগালেন নিতিশ কুমার রেড্ডি। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচে করলেন প্রথম ফিফটি। ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৫০ রান করতে মাত্র ২৭ বল খেলেন ২১ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।
১২ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১২২ রান। রিঙ্কু সিংয়ের সঙ্গে নিতিশের জুটির সংগ্রহ ৪০ বলে ৮১ রান।
নিতিশ ২৭ বলে ৫০ ও রিঙ্কু ১৮ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত।
জুটির পঞ্চাশ, দশম ওভারে ভারতের একশ
দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পর ঘুরে দাঁড়ালেন রিঙ্কু সিং ও নিতিশ কুমার রেড্ডি। এরই মধ্যে চতুর্থ উইকেটে পঞ্চাশ রানের জুটি গড়লেন তারা দুজন। দশম ওভারে একশ পূর্ণ হলো ভারতের।
১০ ওভারে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০১ রান। রিঙ্কু ১৪ বলে ২৬ ও নিতিশ ১৯ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত। দুজনের জুটির সংগ্রহ ২৮ বলে ৬০ রান।
প্রথম ৭ ওভারে ৫১ রান করে ভারত। এরপর তিন ওভারে ৪৯ রান দেন মাহমুদউল্লাহ ও রিশাদ হোসেন। দশম ওভারে রিশাদের বলে ৩টি ছক্কা মারেন রিঙ্কু ও নিতিশ।
আম্পায়ার্স কলে বাঁচলেন নিতিশ
মাহমুদউল্লাহর ফ্রি-হিট ডেলিভারিতে ছক্কা মারার পরের বল রিভার্স শট খেলার চেষ্টা করলেন নিতিশ কুমার রেড্ডি। কিন্তু ব্যাটে লাগাতে পারলেন না। জোরাল আবেদনে সাড়া দিলেন না আম্পায়ার।
কিছুক্ষণ আলোচনার পর রিভিউ নিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। রিপ্লেতে দেখা যায়, বলের 'ইম্প্যাক্ট' ছিল আম্পায়ার্স কল। অর্থাৎ মাঠের আম্পায়ার 'নট আউট' দেওয়ায় বহাল থাকে সেই সিদ্ধান্ত।
৫ রানে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যাওয়ার পর ১৯ রানে আম্পায়ার্স কলে বাঁচলেন নিতিশ।
৯ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৭৭ রান। নিতিশ ১৬ বলে ২৩ ও রিঙ্কু সিং ১১ বলে ১৬ রানে অপরাজিত।
পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট নিল বাংলাদেশ
টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত দারুণভাবে কাজে লাগালেন বোলাররা। পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট নিলেন তারা। বিপরীতে ভারতের সংগ্রহ ৪৫ রান।
দ্বিতীয় ওভারে সাঞ্জু স্যামসনকে ফিরিয়ে শুরুটা করেন তাসকিন আহমেদ। পরের ওভারে আভিশেক শার্মাকে বোল্ড করেন তানজিম হাসান। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে সুরিয়াকুমার ইয়াদাভকে আউট করেন মুস্তাফিজুর রহমান।
রিঙ্কু সিং ৩ বলে ৪ ও নিতিশ কুমার রেড্ডি ৭ বলে ৮ রানে ব্যাট করছেন।
সুরিয়াকুমারকে ফেরালেন মুস্তাফিজ
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসেই আঘাত করলেন মুস্তাফিজুর রহমান। দারুণ ডেলিভারিতে তিনি ফিরিয়ে দিলেন সুরিয়াকুমার ইয়াদাভকে।
মুস্তাফিজের সহজাত কাটার ডেলিভারি পিচ করার পর কিছুটা থেমে যাওয়ায় টাইমিং করতে পারেননি সুরিয়াকুমার। মিড অফে সহজ ক্যাচ নেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
১ চারে ৮ রান করতে ১০ বল খেলেন সুরিয়াকুমার। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান রিঙ্কু সিং।
নিতিশের ক্যাচ ছাড়লেন লিটন
পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট পেতে পারতেন তানজিম হাসান। কিন্তু নিতিশ কুমার রেড্ডির ক্যাচ নিতে পারলেন না লিটন কুমার দাস। ৫ রানে জীবন পেলেন চার নম্বরে নামা ব্যাটসম্যান।
তানজিমের স্লোয়ার বাউন্সার হুক করার চেষ্টায় লাগে নিতিশের গ্লাভসে। উইকেটের পেছনে যাওয়া বল বাম দিকে ঝাঁপিয়ে নাগাল পেলেও গ্লাভসে রাখতে পারেননি লিটন।
৫ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৬ রান। নিতিশ ৪ বলে ৬ ও সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ ৮ বলে ৪ রানে অপরাজিত।
আভিশেকের স্টাম্প ওড়ালেন তানজিম
ফেরার ম্যাচে প্রথম ওভারেই সাফল্য পেলেন তানজিম হাসান। তরুণ এই পেসারের বল অন সাইডে খেলার চেষ্টায় ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে বোল্ড হলেন আভিশেক শার্মা। কয়েকবার ডিগবাজি খেয়ে বেশ দূরে ছিটকে পড়ে অফ স্টাম্প।
৩ চারে ১১ বলে ১৫ রান করেন আভিশেক। নতুন ব্যাটসম্যান নিতিশ কুমার রেড্ডি।
৩ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২৫ রান।
শুরুতেই তাসকিনের আঘাত
পুরো ওভারে দারুণ বোলিংয়ের পুরস্কার পেতে সময় লাগল না তাসকিন আহমেদের। শেষ বলে স্লোয়ার ডেলিভারিতে আগেই ব্যাট চালিয়ে মিড অফে ক্যাচ দিলেন সাঞ্জু স্যামসন।
২ চারে ৭ বলে ১০ রান করেন স্যামসন।
২ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৭ রান। নতুন ব্যাটসম্যান সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ। ৫ বলে ৭ রানে অপরাজিত আভিশেক শার্মা।
৬ বছর পর প্রথম ওভারে মিরাজ
অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজকে দিয়ে ইনিংস শুরু করলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ২০১৮ সালে দুই ম্যাচের পর এবারই প্রথম টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ওভার করলেন মিরাজ।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে মিরাজকে বাউন্ডারি মারেন সাঞ্জু স্যামসন। শেষ বল একই ঠিকানায় পাঠান আভিশেক শার্মা। সব মিলিয়ে ওভারে খরচ ১৫ রান।
ভারতের অপরিবর্তিত একাদশ
প্রথম ম্যাচে সহজ জয়ের পর একাদশে কোনো পরিবর্তন আনেনি ভারত।
ভারত একাদশ: সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ, আভিশেক শার্মা, সাঞ্জু স্যামসন, রিঙ্কু সিং, হার্দিক পান্ডিয়া, রিয়ান পারাগ, নিতিশ কুমার রেড্ডি, ওয়াশিংটন সুন্দার, ভারুন চক্রবর্তী, আর্শদিপ সিং, মায়াঙ্ক ইয়াদাভ।
শরিফুলের জায়গায় তানজিম
নিজেদের একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২ ওভারে ১৭ রান দেওয়া শরিফুল ইসলামের জায়গায় সুযোগ দেওয়া হয়েছে তানজিম হাসানকে।
বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন কুমার দাস, পারভেজ হোসেন, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকের আলি, তাসকিন আহমেদ, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
দ্বিতীয় ম্যাচে কয়েনভাগ্য পাশে পেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
শান্ত বলেছেন, ম্যাচের দ্বিতীয়ভাগে শিশিরের উপদ্রব থাকতে পারে। তাই রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
ভারত অধিনায়ক সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ বলেছেন, টস জিতলে তিনি আগে ব্যাটিংই নিতেন। শিশির পড়ার শঙ্কা থাকায় বোলারদের সেই চ্যালেঞ্জটা দিতে চান তিনি।
রান বন্যার অপেক্ষা
পিচ রিপোর্টে আভিনাব মুকুন্দ বলেছেন, "দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি রানোৎসবের ম্যাচ হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। এই পিচে আগে অনেক রান হয়েছে। কোনো দিক থেকেই এটি খুব বড় মাঠ নয়। দুই পাশে ৫৫ ও ৬৩ মিটার বাউন্ডারি। সামনে ৭২ মিটার। আইপিএলে এটি দুর্দান্ত পিচ ছিল। ধারাবাহিকভাবে ২০০-র বেশি রান হয়েছে। এই পিচ দেখে মনে হচ্ছে, ২০০ রানও যথেষ্ট নাও হতে পারে। সম্প্রতি স্থানীয় এক টুর্নামেন্টে একই পিচে ৩০০ রান হয়েছে। আইপিএলে পাঁচ ম্যাচের প্রতিটি আগে ব্যাট করা দল জিতেছে। আমিও এখানে ব্যাট করতাম। তবে শিশিরের উপদ্রব থাকায় কিছুই নিশ্চিত নয়।"
ঘুরে দাঁড়ানোর অভিযানে বাংলাদেশ
টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হওয়ার পর টি-টোয়েন্টির শুরুটাও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ঘুরে দাঁড়ানোর অভিযানে বুধবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হবে ম্যাচ।
ভারতের বিপক্ষে আগের ১৫ ম্যাচে বাংলাদেশের একমাত্র জয়টি দিল্লির মাঠেই। ২০১৯ সালে মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত ফিফটিতে ৭ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ।
এর বাইরে দিল্লিতে আর একটিই ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। গত বছরের বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কাকে ওই ম্যাচে ৩ উইকেটে হারিয়েছে তারা।
শতভাগ সাফল্য নিয়ে এবার দিল্লির মাঠে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। গত কয়েক বছর ধরে এই মাঠে রান হয় প্রচুর। তাই প্রথম টি-টোয়েন্টির মতো এবারও কঠিন চ্যালেঞ্জই অপেক্ষা করছে বোলারদের জন্য।