দলের তরুণ ক্রিকেটারদের নিজেদের প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি সমর্থকদের ধৈর্য ধরতে বললেন হারিস রউফ।
Published : 18 Mar 2025, 05:54 PM
ব্যর্থতা যেন পিছু ছাড়ছে না পাকিস্তান ক্রিকেট দলের। ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর নিউ জিল্যান্ড সফরে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে পাত্তাই পায়নি তারা। তাদের নিয়ে সমালোচনাও থেমে নেই। কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়েই দলটির পেসার হারিস রউফ বললেন, দেশে কিছু মানুষ পাকিস্তানের হার দেখার জন্য অপেক্ষা করে, যাতে তারা খেলোয়াড়দের সমালোচনা করতে পারে।
সম্প্রতি শেষ হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়ে ২৮ বছর পর ঘরের মাঠে আইসিসির কোনো আসর আয়োজনের সুযোগ পায় পাকিস্তান। কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচ হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় মোহাম্মদ রিজওয়ানের নেতৃত্বাধীন দল। শেষ ম্যাচ ভেসে যায় বৃষ্টিতে।
বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের ব্যর্থতা চলছে অবশ্য গত কয়েক বছর ধরেই। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও গত দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপেও গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল তারা।
সংস্করণ বদলালেও পাকিস্তানের পারফরম্যান্স বদলায়নি। নিউ জিল্যান্ডে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটিতে তারা হেরে গেছে খর্বশক্তির প্রতিপক্ষের কাছে। ক্রাইস্টচার্চে প্রথম ম্যাচে ৯১ রানে গুটিয়ে ম্যাচ হারে তারা ৯ উইকেটে। নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে তাদের সর্বনিম্ন স্কোর এটি।
ডানেডিনে মঙ্গলবার দ্বিতীয় ম্যাচে কিছুটা উন্নতি হয় তাদের ব্যাটিংয়ে। বৃষ্টির কারণে ১৫ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে তারা করে ৯ উইকেটে ১৩৫ রান। তবে ইউনিভার্সিটি ওভালের রানপ্রসবা ছোট মাঠে তা যথেষ্ট হয়নি। নিউ জিল্যান্ড ৫ উইকেটে জিতে যায় অনায়াসে। এই ম্যাচে পাকিস্তানের নতুন অধিনায়ক সালমান আলি আগার ২৮ বলে ৪৬ ছাড়া উল্লেখ করার মতো কিছু করতে পারেননি আর কেউ।
ম্যাচটিতে বল হাতে দুই উইকেট নেওয়া রউফ সংবাদ সম্মেলনে বললেন, তরুণ খেলোয়াড়দের নিজেদের প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া উচিত।
“পাকিস্তানে খেলোয়াড়দের সমালোচনা করা এখন সাধারণ বিষয়। তরুণ খেলোয়াড়দের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। অন্য দলগুলোর দিকে তাকালে দেখা যাবে, তরুণদের পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়। তাদের ১০-১৫টি ম্যাচ খেলার সুযোগ দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শুরুর সময়টায় সংগ্রাম করতে হয়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পাকিস্তানে এখন এটা (সমালোচনা) সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষ আমাদের হার দেখার জন্য অপেক্ষা করছে। প্রত্যেকেরই নিজস্ব মতামত আছে।”
দুই সিনিয়র ক্রিকেটার রিজওয়ান ও বাবর আজমকে বাদ দিয়ে সালমানের নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টিতে নতুন শুরুর লক্ষ্যে এই সফরে গেছে পাকিস্তান। রউফ বললেন, নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করছেন তারা।
“আমরা আমাদের সেরাটা দিচ্ছি এবং দল গঠনের দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। সিনিয়র হিসেবে আমরা তরুণদের অনুপ্রাণিত করছি এবং বলছি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেমন।”
সিরিজ হার এড়াতে আগামী শুক্রবার অকল্যান্ডে তৃতীয় ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।