সাদা বলের ক্রিকেটে এখন ইংল্যান্ডের একক আধিপত্য। ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সংস্করণের শ্রেষ্ঠত্বও অর্জন করেছে তারা। তবে সাম্প্রতিক ফলাফল ভালো নয় তাদের। এর মধ্যেই তারা খেলতে নামবে বাংলাদেশের বিপক্ষে। যারা ঘরের মাঠে আছে দারুণ ফর্মে। তাই বলে নিজেদের নিয়ে একদমই চিন্তিত নয় ইংলিশরা।
বাংলাদেশে খেলতে আসার আগে সবশেষ দশ ওয়ানডের মধ্যে ৭টিতেই হেরেছে ইংল্যান্ড। পরিত্যক্ত হয়েছে এক ম্যাচ। বাংলাদেশের চিত্র ঠিক উল্টো। সবশেষ দশ ম্যাচে তারা জিতেছে ৭টিতে, পরাজয় ৩টি।
খেলা যখন ঘরের মাঠে তখন বাংলাদেশের পরিসংখ্যান আরও হৃষ্টপুষ্ট। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর ঘরের মাঠে ৭টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সবকয়টিই জিতেছে বাংলাদেশ। ২০১৪ সালের জুনের পর নিজ দেশে ওই একটি সিরিজই হেরেছে তারা।
দুই দলের সাম্প্রতিক ফর্মের বিপরীত প্রসঙ্গ টেনে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন এলো, তাহলে কি প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশই ফেভারিট? উত্তরে ইংল্যান্ডের প্রতিনিধি হয়ে আসা মইন আলি মনে করিয়ে দিলেন তাদের বৈশ্বিক শিরোপার কথা।
“কারা ফেভারিট সেটি আসলে তেমন বড় কিছু নয়। আমি মনে করি, নিজেদের কন্ডিশনে বাংলাদেশ খুব ভালো দল। আমরা জানি যে শেষ ১০ ম্যাচের মধ্যে ৮টি (৭টি) হেরেছি। তবে আমরাও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এবং আগে ভালো করেছি।”
“এর আগে সম্প্রতি আমরা আমাদের সেরা দল পাইনি। তবে এবার (মার্ক) উড আছে, জফ্রা (আর্চার) আছে এবং উইল জ্যাকসের মতো কিছু নতুন ছেলে পেয়েছি আমরা। তাদের পেয়ে আমরা রোমাঞ্চিত। ফেভারিটের কথা বললে, সিরিজ শেষ হওয়ার আগে এটি আসলে তেমন বড় কিছু নয়।”
ইংলিশদের সেরা দল না পাওয়ার বিষয়টি বলা যায় এখন বিশ্ব ক্রিকেটের নতুন বাস্তবতা। ঠাঁসা সূচিতে ব্যস্ত সময় পার করতে হয় প্রায় সব দলকে। মইন, জস বাটলাররা যখন বাংলাদেশে, বেন স্টোকসের নেতৃত্বে নিউ জিল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ খেলছে ইংল্যান্ডের আরেক দল।
এই বাস্তবতা মেনে নিয়েই সামনে এগোনোর কথা বললেন মইন।
“আমি মনে করি এটি স্বাভাবিক হতে চলেছে। শুধু আমাদের জন্য নয়, বেশির ভাগ দেশই এখন এটি করবে। অবশ্যই আমাদের সূচি খুব কঠিন। তবে আমাদের যথেষ্ট ভালো খেলোয়াড় আছে এবং এখানে আমরা খুব ভালো দল পেয়েছি, সেখানের (নিউ জিল্যান্ড) দলটিও ভালো। সব সংস্করণ মিলেই ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল হিসেবে আমরা খুব ভাগ্যবান।”