স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে তিনশ রানের ইনিংস আছে তিনটি দলের, এছাড়া আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে গত অক্টোবরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৯৭ রান তুলেছিল ভারত।
Published : 20 Mar 2025, 10:30 AM
গত অক্টোবরে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে স্রেফ তিন রানের জন্য তিনশ ছুঁতে পারেনি ভারত। গত আইপিএল একটি ম্যাচে তিনশ রানের কাছাকাছি গিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সেই দূরত্ব এবার ঘুচে যেতে পারে বলেই মনে করেন শুবমান গিল। গুজরাট টাইটান্স অধিনায়কের ধারণা, এবারের আইপিএলেই দেখা যেতে পারে তিনশ রানের স্কোর।
গিলের মতে, ‘ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার’ নিয়মের কারণে তিনশ রানের ইনিংস গড়ার সম্ভাবনা বেড়ে গেছে অনেকটা। এই নিয়মের সুবিধা নিয়ে বাড়তি একজন ব্যাটসম্যান বা বোলার খেলাতে পারছে দলগুলি। যদিও অলরাউন্ডারদের জন্য কিছু ক্ষেত্রে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই নিয়ম। তবে জিওহটস্টারকে গিল বললেন, এই নিয়মই সহায়তা করতে পারেন দলীয় স্কোরের নতুন সীমানা ছুঁতে।
“খেলাটির গতি এখন এমন এক মোড়ে পৌঁছে গেছে যে, মনে হচ্ছে আমরা কোনো ম্যাচে ৩০০ রান করতে পারি। গত বছর আমরা কয়েক দফায় খুব কাছাকাছি গিয়েছিলাম। ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মটিও এখানে বাড়তি রোমাঞ্চ যোগ করেছে এবং আইপিএলকে আরও বিনোদনদায়ী করে তুলেছে।”
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এখনও পর্যন্ত তিনশ রানের স্কোর হয়েছে তিনটি। সবচেয়ে বড় স্কোরটি হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটেই। সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে সিকিমের বিপক্ষে ২০ ওভারে ৩৪৯ রান তোলে বারোদা।
গত অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আফ্রিকান অঞ্চলের বাছাইয়ে গাম্বিয়ার বিপক্ষে ২০ ওভারে ৩৪৪ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সবচেয়ে বড় দলীয় স্কোরের কীর্তি সেটি।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে এশিয়ান গেমসে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে নেপাল ২০ ওভারে করেছিল ৩১৪ রান।
আইপিএলে রেকর্ডটি ২৮৭ রানের। গত আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বোলারদের গুঁড়িয়ে এই রান তুলেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। বিস্ফোরক সেঞ্চুরি করেছিলেন সেদিন ট্রাভিস হেড, বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন হাইনরিখ ক্লসেন, এইডেন মার্করাম ও আব্দুল সামাদ।
বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ম্যাচ দিয়ে এবারের আইপিএল শুরু শনিবার।