গত এক দশকে এই নিয়ে মাত্র চতুর্থবার কোনো টেস্ট ম্যাচের চার দিনের খেলাই ভেস্তে গেল।
Published : 12 Sep 2024, 11:32 AM
সকাল শুরু হয়েছিল মেঘের ঘনঘটায়। খেলা শুরুর সময় এগিয়ে আসতে আসতেই আকাশ ভেঙে নামল বৃষ্টি। তাতে যা হবার, হলো তা-ই। আরও একবার দিনের শুরুতেই খেলা শেষ।
আগের দিনের মতোই সকাল সোয়া ৯টাতে ঘোষণা এলো, দিনের খেলা পরিত্যক্ত। ভারতের গ্রেটার নয়ডায় আফগানিস্তান-নিউ জিল্যান্ডের টেস্ট ম্যাচের টস হতে পারল না চতুর্থ দিনেও।
বৃষ্টি না এলেও অবশ্য খেলা হওয়া নিয়ে শঙ্কা ছিল। যথারীতি তুমুল বৃষ্টিপাত হয়েছে আগের রাতে। এই মাঠের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার যা অবস্থা, তাতে খেলা এমনিতেই চালানো কঠিন ছিল। সকালের বৃষ্টি নিশ্চিত করে দেয়, দিনজুড়ে কষ্ট করে আর মাঠ শুকানোর চেষ্টা করতে হবে না।
বৃহস্পতিবার সকালে খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণার সময় টিভি ধারাভাষ্যে বলা হয়, গত সাতদিনে ১২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
গত এক দশকে কোনো টেস্টের চার দিন খেলা না হওয়ার নজির আছে আর তিনটি। ২০১৫ সালে মিরপুরে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্টের প্রথম দিনের পর বাকি দিনগুলিতে খেলা হয়নি বৃষ্টি ও ভেজা মাঠের কারণে। ওই বছর বেঙ্গালুরুতে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টেও খেলা হয়নি প্রথম দিনের পর। ২০১৬ সালে ত্রিনিদানে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্টে প্রথম দিনে ২২ ওভার খেলা হওয়ার পর আর হতে পারেনি।
অতি নাটকীয় কিছু না হলে আফগানিস্তান-নিউ জিল্যান্ডের এই টেস্টে পঞ্চম দিনেও খেলা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। টেস্ট ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত সাতটি ম্যাচে একটি বলও খেলা হয়নি। সবশষটি সেই ১৯৯৮ সালে, সেখানেও ছিল নিউ জিল্যান্ড। ডানেডিনে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল ভারত।
এই টেস্ট ও গ্রেটার নয়ডা স্পোর্টস কমপ্লেক্স মাঠের অবস্থা নিয়ে গত কয়েকদিনে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে প্রচুর। বেশ কয়েক দিন ধরেই দিল্লি ও আশেপাশের নয়ডাসহ অন্যান্য এলাকায় প্রবল বৃষ্টি চলছে টানা। এই মাঠের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা খুব নাজুক, আউটফিল্ড বাজে। আগের রাতে বেশি বৃষ্টি হলেই পরদিনের খেলা চালানো প্রায় অসম্ভব।
টেস্টের দ্বিতীয় দিনে সেটিই দেখা গেছে। প্রায় সারাদিনই ছিল রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া। কিন্তু আউটফিল্ডের বেশ কিছু জায়গা ভেজা থাকায় খেলা হয়নি। সেদিন ফ্যান দিয়ে মাঠ শুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। অনুশীলনের জায়গা থেকে শুকনো ঘাসের ব্লক তুলে এনে মূল মাঠের ভেজা জায়গায় প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু লাভ হয়নি তাতে।
এই টেস্টের জন্য বেঙ্গালুরুর ও কানপুরকে ভেন্যু করার প্রস্তাব দিয়েছিল ভারতীয় বোর্ড। কিন্তু আফগান বোর্ড বেছে নেয় গ্রেটার নয়ডাকে। সেই সিদ্ধান্তের জন্য এখন পস্তাতে হচ্ছে আফগানদের।