তারা বলছেন, দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এই ধরনটির
‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন’ হচ্ছে এবং কয়েকটি
গুরুত্বপূর্ণ শহরে শনাক্তের হার কমলেও হাসপাতালগুলোতে আরও বেশি রোগী দেখা যাচ্ছে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত
২৪ ঘণ্টায় ভারতে কোভিড শনাক্ত হয়েছে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৮৭৪ জনের মধ্যে। টানা পাঁচদিন পর
এই সংখ্যা ৩ লাখের নিচে নেমেছে।
সোমবার শনাক্তের হার ছিল ২০ দশমিক ৭ শতাংশ,
মঙ্গলবার তা কমে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ হয়েছে।
তবে মঙ্গলবার কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা আগের
দিনের ৪৩৯ জন থেকে বেড়ে হয়েছে ৬১৪ জন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৭ ডিসেম্বরে
ভারতে সাপ্তাহিক শনাক্তের হার ছিল শূন্য দশমিক ৬৩ শতাংশ। ওমিক্রনের দাপটে মঙ্গলবার
সাপ্তাহিক শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ১৭ শতাংশে।
‘ইন্ডিয়ান সার্স-কোভ-২
জিনোমিক্স কনসোর্টিয়াম’ এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, “ওমিক্রন এখন ভারতে
কমিউনিটি ট্রান্সমিশনে রয়েছে এবং একাধিক অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার করেছে।”
কনসোর্টিয়াম বলছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ওমিক্রনের
সংক্রমণে মৃদু অসুস্থতা দেখা যাচ্ছে। তারপরও হাসপাতালে এবং নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে
কোভিড রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
গত দুই সপ্তাহে রাজধানী দিল্লির মত বড়
শহরগুলো এবং মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ে ব্যাপক সংক্রমণের পর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমে এসেছে।
ভারতের মেডিকেল-রিসার্চ কাউন্সিল এবং কোভিড
টাস্কফোর্সের সদস্য ডা. সুভাষ সালুঙ্কে বলেছেন, মঙ্গলবার যে তথ্য এসেছে, সামনে তা এরকম
নাও থাকতে পারে, কারণ ওমিক্রন এখন মফস্বল ও গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে।
মহারাষ্ট্র সরকারকে পরামর্শ দেওয়া সালুঙ্কে
বলেন, এ রাজ্যে আগামী আট থেকে ১০ সপ্তাহের মধ্যে সংক্রমণে গ্রাফে কয়েক দফা ওঠানামা
দেখা যেতে পরে।
“মুম্বাই এবং পুনের
মত শহরগুলোতে কোভিডে শনাক্তের সংখ্যা মোট বিশাল সংখ্যার একটি অংশ মাত্র। কোভিডের আগের
ঢেউয়ের জন্য দায়ী ডেল্টা ধরনটিও এখনও ছড়াচ্ছে।”
মহামারী শুরুর পর থেকে ভারতের এ পর্যন্ত
৩ কোটি ৯৭ লাখ ৯৯ হাজার ২০২ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের পরে বিশ্বে
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ভারতে মারা গেছেন ৪ লাখ ৯০ হাজার ৪৬২ জন।
পুরেনো খবর
ওমিক্রনেই মহামারীর ইতি?
ভারতে টানা পাঁচ দিন ধরে দৈনিক শনাক্ত ৩ লাখের উপরে
কোভিড: ভারতে দৈনিক শনাক্ত ৮ মাসে সর্বোচ্চ
কোভিড: ভারতে দৈনিক শনাক্ত খানিকটা কমেছে