মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এবার বিমানবন্দরে কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থাপনায় সেনা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।
“আফ্রিকার দেশগুলো থেকে অথবা আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলো থেকে যারা আসবে, তারা যেন না আসে, সে ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করব। কোনো ফ্লাইট যেন না থাকে। ওখান থেকে যারাই আসুক, তারা যেন কোয়ারেন্টিনে থাকে। সেটা হোম কোয়ারেন্টিন নয়, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন।
“এ ব্যাপারে ম্যানেজমেন্ট শক্ত হতে হবে। আমরা চাই সেনাবাহিনী সেই কোয়ারেন্টিন ম্যানেজ করবে।”
তিনি বলেন, “আগত ব্যক্তিকে নমুনা পরীক্ষা করাতে হবে। পরীক্ষায় রিপোর্ট পজিটিভ এলে তাকে আইসোলেশনে থাকতে হবে। কোয়ারেন্টিনের খরচ তাকেই বহন করতে হবে। কেউ খরচ বহন করতে না পারলে সেটা বিবেচনা করা হবে।”
মন্ত্রী বলেন, “ওমিক্রন ছড়িয়েছে এমন দেশ থেকে লোক এলে আমরা ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন দিব।
“আগত ব্যক্তিকে নমুনা পরীক্ষা করাতে হবে। পরীক্ষায় রিপোর্ট পজিটিভ এলে তাকে আইসোলেশনে থাকতে হবে। কোয়ারেন্টিনের খরচ তাকেই বহন করতে হবে। কেউ খরচ বহন করতে না পারলে সেটা বিবেচনা করা হবে।”
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ইউরোপের দেশগুলোয় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়েছে। সেসব দেশ থেকে যারা আসবে তাদের পরীক্ষা নিরীক্ষার বিষয়টিতে জোর দেওয়া হয়েছে।
“এ পর্যন্ত ১৫-২০টা দেশে ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে গেছে। সেসব দেশের বিষয়ে আমরা আলাদাভাবে দেখব। তাদের পরীক্ষার বিষয়টা জোরদার করব। প্রয়োজন হলে কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করব।”
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবারের মত শনাক্ত করোনাভাইরাসের এই নতুন ধরন ইতোমধ্যে পুরো বিশ্বেই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। অনেক দেশ সীমান্ত বন্ধ করার পাশাপাশি ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সতর্ক করেছে।
এ পরিস্থিতিতে রোববার আফ্রিকার কয়েকটি দেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং, জনসমাগম নিরুৎসাহিত করা এবং পর্যটন, বিনোদন কেন্দ্র, রেস্তোরাঁয় ভিড় এড়ানোসহ ১৫ নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সেখানে বলা হয়, দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, বতসোয়ানা, এসওয়াতিনি, লেসোথোসহ যেসব দেশে ওমিক্রনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, সেসব দেশ থেকে আসা যাত্রীদের বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্ক্রিনিং জোরদার করতে হবে।
আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে।
“ভারতসহ আশপাশের কয়েকটি দেশ বুস্টার ডোজ দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরাও কাজ করছি। এটা নিয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত হবে।”
সভায় 'নো ভ্যাকসিন, নো সার্ভিস' নিয়ম চালুরও সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, “আগে আমাদের স্লোগান ছিল 'নো মাস্ক নো সার্ভিস' এখন থেকে 'নো ভ্যাকসিন, নো সার্ভিস' চালু করতে যাচ্ছি আমরা। আজকে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়ে তা বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেব।"
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার রোধে দক্ষিণ আফ্রিকাসহ জিম্বাবুয়ে, নামিবিয়া, বতসোয়ানা, সোয়াজিল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে আসা বন্ধ করারও সুপারিশ করা হয়েছে বৈঠকে।