টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, সোমবার জাপানের স্থানীয় সময় রাত সোয়া ৯টায় নারিতা বিমানবন্দর থেকে টিকা নিয়ে অল নিপ্পন এয়ারওয়েজের (এএনএ) কার্গো ফ্লাইট ছেড়ে আসে।
এরপর হংকং হয়ে “ক্যাথে প্যাসিফিক এয়াওয়েজের কার্গো ফ্লাইটে মঙ্গলবার দেশে পৌঁছাবে তৃতীয় চালানের টিকা।”
আন্তর্জাতিক টিকা সরবরাহের প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় জাপান থেকে আসছে কোভিশিল্ডের এই টিকা।
জাপানের এসব চালানে ভর করে সোমবার থেকে এই টিকার দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় থাকা ব্যক্তিদের টিকা প্রয়োগ আবার শুরু হয়েছে।
সব মিলিয়ে জাপান থেকে আসা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার সংখ্যা হবে ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ৩০০ ডোজ।
কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় জাপান বাংলাদেশকে সর্বমোট ৩০ লাখ ডোজ টিকা উপহার পাঠানোর কথা জানিয়েছে।
এর আগে দু’দফায় ১০ লাখ ২৬ হাজার ৫২০ ডোজ টিকা পাঠিয়েছিল দেশটি।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়েই গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে গণটিকাদান শুরু হয়েছিল।
সেরামে তৈরি কোভিশিল্ড টিকার সাড়ে ৩ কোটি ডোজ কিনতে চুক্তি করেছিল সরকার। কিন্তু ৭০ লাখ ডোজ আসার পর ভারত রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলে আর চালান আসেনি। এর বাইরে ভারত সরকার উপহার হিসেবে দিয়েছিল ওই টিকার ৩২ লাখ ডোজ।
এর মধ্যে বাংলাদেশ চীন থেকে সিনোফার্মের টিকা কেনা শুরু করেছে। কোভ্যাক্সের আওতায় ফাইজার, মডার্নার কোভিড টিকাও এসেছে।
কিন্তু অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুটি ডোজ যারা নিতে পারেননি, তারা পড়েন বিপাকে। কারণ তাদের অন্য টিকাও দেওয়া যাচ্ছিল না।
সোমবার টিকা পাঠানোর সময় নারিতা বিমানবন্দরে টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার সৈয়দ নাসির এরশাদ উপস্থিত ছিলেন।