কোভিড: দেশে এখন ৭৮ শতাংশই ডেল্টা

বাংলাদেশে গত জুন মাসে কোভিড-১৯ রোগীদের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করে দেখা গেছে, ৭৮ শতাংশই ডেল্টা ধরনে আক্রান্ত।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 July 2021, 05:13 PM
Updated : 4 July 2021, 05:15 PM

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইডিসিআর রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই জানিয়েছে।

এর আগের মে মাসে সংগৃহীত নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করে ৪৫ শতাংশে ভারতে উদ্ভূত করোনাভাইরাসের এই ধরনটি পাওয়া গিয়েছিল।

অন্য অনেক ভাইরাসের মতো নতুন করোনাভাইরাসও ক্রমাগত রূপ বদল করে চলছে। এর মধ্যে গত বছর ভারতে এর যে পরিবর্তিত একটি রূপ শনাক্ত হয়, তা নাম পেয়েছে ডেল্টা।

এই ধরন বা ভ্যারিয়েন্টটি (বি.১.৬১৭.২) অতি সংক্রামক হওয়ায় ইতোমধ্যে একে ‘বিশ্বের উদ্বেগ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বাংলাদেশে গত এপ্রিল থেকে করোনাভাইরাসের অন্য ধরনগুলোকে ছাপিয়ে ডেল্টা ধরনটির দাপট দেখাতে থাকে।

আইইডিসিআর জানায়, ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে সিকোয়েন্স করা নমুনার সবগুলোয় আলফা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছিল। মার্চে করা নমুনার ৮২ শতাংশে ছিল বেটা ভ্যারিয়েন্ট, ১৭ শতাংশ নমুনা আলফা ভেরিয়েন্ট।

“এপ্রিল মাসে সংক্রমিতদের মধ্যে বেটা ভ্যারিয়েন্টের প্রাধান্য ছিল। এপ্রিলে বাংলাদেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে। বতর্মানে এই ভ্যারিয়েন্টের প্রাধান্য সুস্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।”

গত এপ্রিলে দেশে ১ লাখ ৪৭ হাজার কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছিল, যা মহামারীর দেড় বছরের মধ্যে এক মাসে সর্বাধিক শনাক্ত।

মে মাসে ৪১ হাজার শনাক্তের পর জুন মাসে ১ লাখ ১২ হাজার রোগী শনাক্ত হয়, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ৩০ জুন এক দিনে রেকর্ড ৮ হাজার ৮২২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

জুলাই মাসের শুরুতে সংক্রমণের গতি বাড়ছেই; এর মধ্যে ৪ জুলাই একদিনে দেড় শতাধিক কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যুর খবর আসে, যা দিনের হিসেবে সর্বোচ্চ সংখ্যা।

এই পরিস্থিতিতে সরকার সারাদেশে কঠোর লকডাউন শুরু করেছে ১ জুলাই থেকে।

আইইডিসিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট যাই হোক না কেন তা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই একমাত্র উপায়।

আরও পড়ুন