করোনাভাইরাস: এক দিনে ৪০ মৃত্যু, দুই সপ্তাহের সর্বোচ্চ

দেশে গত এক দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে; সংক্রমণ ধরা পড়েছে আরও ১ হাজার ৬৭৫ জনের মধ্যে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 May 2021, 09:54 AM
Updated : 25 May 2021, 01:12 PM

এক দিনে মৃত্যুর এই সংখ্যা গত দুই সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর আগে ৯ মে ৫৬ জনের মৃত্যুর খবর এসেছিল।

এরপর গত ১৬ দিনের মধ্যে কেবল ১২ মে ৪০ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বাকি দিনগুলোতে এই সংখ্যা ৪০ এর নিচেই ছিল।  

এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল ৭ মে, সেদিন ১ হাজার ৬৮২ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানানো হয়েছিল।

মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, করোনাভাইরাসে দেশে এ পর্যন্ত ১২ হাজার ৪৪১ জনের মৃত্যু হয়েছ। আর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭ লাখ ৯২ হাজার ১৯৬ জন।

সরকারি হিসাবে, আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ১ হাজার ২৭৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৩২ হাজার ৮১০ জন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা সাড়ে সাত লাখ পেরিয়ে যায় গত ২৭ এপ্রিল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১১ মে তা সাড়ে ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৬ কোটি ৭৩ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩৪ লাখ ৭৪ হাজারের বেশি মানুষের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৪৮৬টি ল্যাবে ১৭ হাজার ৬৮৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৫৮ লাখ ৩৮ হাজার ২৯৫টি নমুনা।

মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১০ দশমিক ০৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪২ লাখ ৮০ হাজার ৬৩৫টি; বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ লাখ ৭৪ হাজার ২৮৪টি।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের ২৬ জন পুরুষ আর নারী ১৪ জন। তাদের ২৯ জন সরকারি হাসপাতালে, ৯ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ২ জন বাড়িতে মারা যান।

তাদের মধ্যে ১৭ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, ৫ জনের  ৩১ থেকে ৪০ বছর এবং ২ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।

মৃতদের মধ্যে ৮ জন ঢাকা বিভাগের, ১৮ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪ জন রাজশাহী বিভাগের, ৩ জন খুলনা বিভাগের, ৩ জন বরিশাল বিভাগের, ১ জন সিলেট বিভাগের ৩ জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

এ পর্যন্ত মৃত ১২ হাজার ৪৪১ জনের মধ্যে ৮ হাজার ৯৯৫ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ৪৪৬ জন নারী।