কোভিড-১৯: ঢাকার পাঁচ হাসপাতালকে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বেড়ে যাওয়ায় সম্ভাব্য সঙ্কটময় পরিস্থিতি সামাল দিতে ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালকে প্রস্তুত করতে বলেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 March 2021, 05:56 PM
Updated : 22 March 2021, 05:56 PM

হাসপাতালগুলো হল- মিরপুরের লালকুঠি হাসপাতাল, ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, মহাখালীর ডিএনসিসি করোনা আইসোলেশন সেন্টার এবং সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল।

সোমবার স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরবার পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব ড. বিলকিস বেগম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, “দেশে ক্রমাগত কোভিড-১৯ সংক্রমিত রোগীর সংখ্যার বৃদ্ধি পাওয়ায় সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবেলায় এসব সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানকে সার্বিকভাবে প্রস্তুত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেওয়া হলো।”

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত বছরের ৩০ নভেম্বরের পর থেকে সংক্রমণ নিম্নমুখী ছিল। এ বছর ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি দৈনিক সংক্রমণ এবং শনাক্তের হার তিন শতাংশের নিচে নেমে আসে। ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করে।

সোমবার একদিনেই নতুন সংক্রমিত হয়েছেন দুই হাজার ৮০৯ জন। দৈনিক শনাক্ত রোগীর এই সংখ্যা গত সাত মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর আগে গতবছরের ২০ অগাস্ট এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিন মোট ২ হাজার ৮৬৮ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।

এদিন মারা গেছেন ৩০ জন মানুষ। সর্বশেষ এর চেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর এসেছিল তিন মাস আগে, গত ৭ জানুয়ারি; সেদিন ৩১ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ছিল ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ। তিন মাসের বেশি সময় পর দৈনিক শনাক্তের হার ১১ শতাংশের বেশি হল। এর আগে ১০ ডিসেম্বর শনাক্তের হার ছিল ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে পাঁচ লাখ ৭৩ হাজার ৬৮৭ জনের। মারা গেছে আট হাজার ৭২০ জন।

গেল বছর মার্চে সংক্রমণ শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকেও কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার অনুমতি দেয় সরকার।

তবে রোগী না পাওয়ায় গত বছরের সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে কয়েকটি হাসপাতালে কোভিড-১৯ সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।