করোনাভাইরাস: এক দিনে ১২৩৪ রোগী শনাক্ত

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত এক দিনে আরও ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও ১ হাজার ২৩৪ জন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Dec 2020, 09:49 AM
Updated : 24 Dec 2020, 10:54 AM

বৃহস্পতিবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়।

সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ১ হাজার ২৩৪ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৬ হাজার ১০২ জন হয়েছে।

আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ১৯ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ৩৭৮ জনে দাঁড়িয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ৩৪৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৪৬ হাজার ৬৯০ জন হয়েছে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ; তা ৫ লাখ পেরিয়ে যায় ২০ ডিসেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১২ ডিসেম্বর তা সাত হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৭তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৩তম অবস্থানে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৪টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২০টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ২৯টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ১৬৩টি ল্যাবে ১৩ হাজার ২২৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩১ লাখ ৩৫ হাজার ৬৫৩টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ১৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৪ লাখ ৯১ হাজার ৯৪২টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৬ লাখ ৪৩ হাজার ৭১১টি।

 

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ আর নারী ৪ জন। তাদের ১৭ জন হাসপাতালে এবং দুইজন বাড়িতে মারা গেছেন।

তাদের মধ্যে ১৪ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।

মৃতদের মধ্যে ১১ জন ঢাকা বিভাগের, ৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১ জন খুলনা বিভাগ এবং ৩ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৭ হাজার ৩৭৮ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৬২২ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৭৫৬ জন নারী।

তাদের মধ্যে ৪ হাজার ১২ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ১ হাজার ৮৭৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৮৬৮ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৭২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৫৯ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৫৬ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৪ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

এর মধ্যে ৪ হাজার ৩২ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৩৭৬ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৩১ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫২০ জন খুলনা বিভাগের, ২৩৬ জন বরিশাল বিভাগের, ২৯০ জন সিলেট বিভাগের, ৩৩১ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৬২ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।