রয়টার্স জানিয়েছে, সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে। রোববার পুরো বিশ্বে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পাঁচ কোটিতে পৌঁছানোর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে এ সংখ্যা এক কোটি পেরিয়ে গেছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ডামাডোলের মধ্যে গত দশ দিনেই সেখানে দশ লাখের বেশি মানুষের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
২৯৩ দিন আগে ওয়াশিংটন রাজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হওয়ার পর এখনই আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে ১ লাখ ৩১ হাজার ৪২০ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ে, যা এক দিনের সর্বোচ্চ। গত সাত দিনের মধ্যে পাঁচ দিনই সেখানে লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে।
সাত দিনের গড় হিসাব করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ৫ হাজার ৬০০ জনে, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ২৯ শতাংশ বেশি।
এই সংখ্যা এশিয়া ও ইউরোপের সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় থাকা দুই দেশ ভারত ও ফ্রান্সের সাত দিনের গড়ের যোগফলের চেয়েও বেশি।
করোনাভাইরাস মহামারীতে যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ২ লাখ ৩৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ। পুরো বিশ্বে এ পর্যন্ত ১২ লাখ ৫৬ হাজার মানুষের মৃত্যুর তথ্য দিচ্ছে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়।
রয়টার্স বলছে, দৈনিক গড় হিসাব করলে এখন বিশ্বে করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া প্রতি ১১ জনের মধ্যে একজন যুক্তরাষ্ট্রের।
সেখানে গত পাঁচ দিন ধরে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা হাজারের ওপরে থাকছে, যে প্রবণতা এর আগে দেখা গিয়েছিল অগাস্টের মাঝামাঝি সময়ে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণের নতুন একটি ঢেউ আসার চার থেকে ছয় সপ্তাহ পর দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়তে শুরু করে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়া জো বাইডেন ভোটের প্রচারের সময় বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে মহামারী সামাল দিতে ব্যর্থতার জন্য দায়ী করেছেন বারবার। নির্বাচিত হওয়ার পর তিন এ বিষয়টিকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
মহামারী মোকাবেলায় সোমবার ১২ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করার কথা রয়েছে বাইডেনের। ওই টাস্কফোর্সের নেতৃত্ব দেবেন সাবেক সার্জন জেনারেল বিবেক মূর্তি এবং সাবেক এফডিএ কমিশনার ডেভিড কেসলার।
আসছে জানুয়ারিতে বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর মহামারী নিয়ন্ত্রেণে কাজ শুরু করার জন্য একটি কৌশলপত্র তৈরি করবে এই টাস্কফোর্স।