নাচ-গান, কবিতা আর অভিনয়সহ বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক আয়োজনে নবীন ব্যাচ ‘উষা’ এর সদস্যদের বরণ করে নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ।
বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে ‘ঊষা বরণ’ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সংগঠনদের সদস্যদের ‘সেরা সদস্য’ সম্মাননা দেওয়ার পাশাপাশি নতুন কমিটি গঠনে চলমান কার্যনির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
‘উষা বরণ’ অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, “ধর্ম, রাজনীতি, সংস্কৃতি আমাদের জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বাঙালি মানে বাংলাদেশের বাঙালি-হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলমান নির্বিশেষে আমরা সবাই বাংলাদেশের। এই বাঙালি সত্তার চর্চা করা আমাদের নাগরিক দায়িত্ব।”
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, “স্বকীয় সংস্কৃতির চর্চা না করলে মানুষের মাঝে মূল্যবোধের ঘাটতি তৈরি হয়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য, রাজনৈতিক আন্দোলনের জন্য এবং জাতিগত উন্নয়নের জন্য নিজেদের ঐতিহ্যকে ধরে রাখার চেষ্টার কোনো বিকল্প নেই।”
সাংস্কৃতিক সংসদের মডারেটর ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী বলেন, শিক্ষক হিসেবে আমার সৌভাগ্য এক ঝাঁক উদ্যমী তরুণদের সাংস্কৃতিক আন্দোলনে যুক্ত হতে পারা। আমি বিশ্বাস করি এই তরুণদের হাত ধরেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। আমাদের সংস্কৃতি বিশ্বের মানচিত্রে আরো প্রগাঢ় জনপ্রিয়তা লাভ করবে।
তিনি বলেন, “বাংলা বর্ণমালার বিভিন্ন বর্ণ দিয়ে ধারাবাহিকভাবে সাংস্কৃতি সংসদের বিভিন্ন ব্যাচের নামকরণ করা হয়। অয়োময়, আত্রেয়ী, ইচ্ছামতী, ঈশাণ, উচ্ছ্বাস ইত্যাদি ব্যাচের ধারাবাহিকতায় নতুন আরেকটি ব্যাচ 'ঊষা' এর সদস্যদের পদচারণায় আরও সমৃদ্ধ হলো আমাদের এই পরিবার।”
অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক সংসদ বিদায় কমিটির সভাপতি সাদিয়া আশরাফি থিজবী, সাধারণ সম্পাদক জয় দাস, অভিনেতা মনোজ কুমার প্রামাণিক, জুলহাজ্জ জুবায়ের এবং টিএসসির পরিচালক খোরশেদ আলমসহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।