গবেষণা কাজে ইউনিলিভার ও বুয়েটের মধ্যে সমঝোতা

বুয়েটের ‘রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং’ বা রাইজ’র সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে ইউনিলিভার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 May 2023, 07:13 PM
Updated : 30 May 2023, 07:13 PM

পরিবেশ সুরক্ষামূলক বিভিন্ন গবেষণা কাজে সহযোগিতা করতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটের সঙ্গে অংশীদারিত্বমূলক উদ্যোগে যুক্ত হয়েছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার ইউনিলিভারের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুয়েটের ‘রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং’ বা রাইজের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সইয়ের কথা জানান হয়।

বুয়েটের রাইজ হচ্ছে একটি গবেষণা ও উদ্ভাবন কেন্দ্র; যেটির লক্ষ্য বিশ্বমানের গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করা এবং বিজ্ঞান ও প্রকৌশল খাতে উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা। উদ্যোগটির লক্ষ্য পরিবেশগত জরুরি চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা, ভবিষ্যৎ পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিগত সমাধান নিয়ে আসা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সহযোগিতামূলক উদ্যোগ প্রাথমিকভাবে পরিবেশের ওপর প্রভাব কমিয়ে আনা, কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমানো, বিদ্যুৎ ব্যবহারের কার্যকারিতা বৃদ্ধি এবং পণ্যের কাঁচামালের জন্য টেকসই উৎপাদন খাত নিশ্চিতসহ পুনঃচক্রায়ন (রি-সাইকেলেবল), পুনর্ব্যবহারযোগ্য (রি-ইউজেবল) ও পচনশীল প্যাকেজিং পদ্ধতি উদ্ভাবনে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, বুয়েটের ভিসি অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার ও প্রো-ভিসি আব্দুল জব্বার খান, ইউনিলিভারের সিইও জাভেদ আখতার উপস্থিত ছিলেন।

জাভেদ আখতার বলেন, "ইউনিলিভারের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে মূলত টেকসই উন্নয়নকে ঘিরে। পৃথিবীর স্বাস্থ্যের উন্নয়নে আমাদের বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ২০২০ সাল থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে আসছি। আমরা এখন প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনায় একটি টেকসই ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন উপায় খুঁজে চলেছি, তাই এই খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন এমন গবেষক ও বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কাজ করার এটাই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।”

সংসদ সদস্য সাবের হোসেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্যের উপর হুমকি ও প্লাস্টিক দূষণ; এই সংকটগুলো মোকাবেলায় নীতি ও কৌশলগুলোর ওপর বাংলাদেশেরও ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ আমাদের পরিবেশে দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। আমি মনে করি প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যাবস্থাপনাকে ব্যবসায়িক মডেলে নিয়ে এসে সমাধানের উপায় বের করা প্রয়োজন। এই সমঝোতা স্মারকের ফলশ্রুতিতে একটি বৈশ্বিক ব্র্যান্ড হিসেবে ইউনিলিভার তার অভিজ্ঞতা বুয়েট এর সঙ্গে বিনিময় করবে এবং প্লাস্টিক সমস্যা সমাধানে অভিনব উপায়গুলো সামনে নিয়ে আসবে বলে আমি আশাবাদী।”

বুয়েটের ভিসি অধ্যাক সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, “ইউবিএল এবং বুয়েট প্রায় একইসময়ে বাংলাদেশে তাদের যাত্রা শুরু করে এবং দেশের উন্নয়নে স্ব স্ব খাতে উভয়ের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। ইন্ডাস্ট্রি এবং একাডেমিয়া একটি টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে একে অপরের সহযোগী হিসেবে কাজ করে। তবে সেই সঙ্গে সরকারের উৎসাহ ও সহযোগিতাও গুরুত্বপূর্ণ।”