১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর এই দিনে জগন্নাথ হলের ভবনের ছাদ ধসে ছাত্র, কর্মচারী ও অতিথিসহ মোট ৪০ জনের মৃত্যু হয়।
Published : 15 Oct 2023, 02:26 PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে ৩৮ বছর আগে ছাদ ধসে হতাহতের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সচেতন থাকার তাগিদ দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।
এ ধরনের দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বশীল হতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর এই দিনে জগন্নাথ হলের ভবনের ছাদ ধসে ছাত্র, কর্মচারী ও অতিথিসহ মোট ৪০ জনের মৃত্যু হয়। দিনটিকে প্রতিবছর ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস’ হিসাবে পালন করা হয়।
দিনটি উপলক্ষে রোববার সকাল সাড়ে ৭টায় উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে শোক র্যালি বের করে এবং জগন্নাথ হল স্মৃতিসৌধে গিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল, হোস্টেল ও প্রধান ভবনে কালো পতাকা উত্তোলন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়। এছাড়া নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনা সভাও হয়।
রোববার সকালে জগন্নাথ হলের ‘অক্টোবর স্মৃতি ভবনে’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় আসেন উপাচার্য আখতারুজ্জামান।
তিনি বলেন, "১৫ অক্টোবরের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবার সুরক্ষায় সংশ্লিষ্টদের সচেতন ও সক্রিয় থাকতে হবে। নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের সবাইকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে। মূল্যবোধ, চেতনা ও দায়িত্বের জায়গা দুর্বল থাকলে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়।“
এ সময় অসাম্প্রদায়িক, মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করে সমন্বিতভাবে কাজ করার জন্য সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
উপ-উপচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস পালনের মাধ্যমে আমাদের প্রতিজ্ঞা করতে হবে, ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।“
বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন প্রতিষ্ঠানের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো চিহ্নিত করে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে বলেও জানান মাকসুদ কামাল।
এদিকে বিকেলে বাদ আছর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসহ হলের মসজিদগুলোয় নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. নিজমুল হক ভুইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা, জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মিহির লাল সাহা, সাবেক প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক অসীম সরকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মোল্লা মো. আবু কাওছার, জগন্নাথ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নিবাস চন্দ্র মাঝিসহ হলের ছাত্র নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স এসোসিয়েশন, তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী সমিতি, কারিগরী কর্মচারী সমিতি ও চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন। রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।