এদেশের মানুষকে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্র উপহার দেওয়াই ছিল বঙ্গবন্ধুর জীবনের স্বপ্ন, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
Published : 17 Mar 2024, 03:48 PM
পৃথিবী যতদিন টিকে থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংগ্রামী জীবন, আদর্শ ও দর্শন টিকে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি কোনো একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবদ্ধ থাকা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন বলেও মনে করেন তিনি।
উপাচার্য মাকসুদ কামাল বলেন, “যে কোনো অন্যায়, অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শৈশবকাল থেকেই প্রতিবাদী ছিলেন। তিনি শৈশব থেকেই অসহায়, নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।
“এদেশের মানুষকে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্র উপহার দেওয়াই ছিল তার জীবনের স্বপ্ন, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। ক্রমাগত আন্দোলন, সংগ্রাম ও অপরিসীম ত্যাগের মাধ্যমে তিনি তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন এবং আমাদের রাজনৈতিক, ভৌগলিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিয়েছেন।”
রোববার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় কথা বলছিলেন উপচার্য এস এম মাকসুদ কামাল।
দেশ স্বাধীনের এতদিন পরে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি নানা ধরনের চক্রান্ত ও প্রতিবন্ধকতা চালিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন এই অধ্যাপক।
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদ বলেন, “বঙ্গবন্ধু ধীরে ধীরে নানা আন্দোলন-সংগ্রাম পাড়ি দিয়ে পৃথিবীর বুকে আমাদের জন্য একটি স্বাধীন মানচিত্র দিয়ে গেছেন। জীবনের সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য এবং পরিবারকে বঞ্চিত করে তিনি দেশের মানুষের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন।“
উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, “এই অবিসংবাদিত ও ক্ষণজন্মা নেতার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ও সংগ্রামের মধ্যে দিয়েই আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, চেতনা ও আমাদের স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস শিশু, তরুণ প্রজন্মসহ সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।”
সকালে উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন), উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, ডিন, প্রাধ্যক্ষ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এছাড়া চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে সকালে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের ক্যাফেটেরিয়ায় চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন উপাচার্য। এসময় চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেনসহ অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া ও মিলাদ, আবাসিক হল ও হোস্টেলের উপাসনালয়ে দোয়া, প্রার্থনা এবং আলোচনা সভা হয়।
এর আগে রাত ১২টা ১ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে’ কেক কাটা হয়।