এর আগে প্রাধ্যক্ষকে অফিস কক্ষে তালাবন্ধ করে রেখে হলে থাকার অনুমতি আদায় করে নেন জবির বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা।
Published : 17 Jul 2024, 06:43 PM
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে এবার ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধসহ ছয় দফা দাবি মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রশাসনকে দুই ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
বুধবার বিকাল পৌনে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল দাবিগুলো লিখিত আকারে তুলে ধরেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিগুলো লিখিত আকারে দিয়েছে। আমরা প্রশাসন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাতে পারব।”
জবি শিক্ষার্থীদের ছয় দফার মধ্যে রয়েছে-
* আজীবনের জন্য ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
* ছাত্রীদের হল খোলা রাখতে হবে। তাদের সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
* যারা কোটা সংস্কারের ন্যায্য দাবির সংগ্রামে অংশ নিয়ে আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে হবে।
* কোনো শিক্ষক-শিক্ষার্থী বা কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলকে সহযোগিতা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
* মেসে অবস্থান করা ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে মেসে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিচার করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে হবে।
* এই আন্দোলনে হামলাকারী ও মেসে হামলাকারীদের প্রশাসনে সোপর্দ করতে হবে এবং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সকল প্রকার আইনি সহায়তা দেওয়ার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
এর আগে প্রাধ্যক্ষকে অফিস কক্ষে তালাবন্ধ করে রেখে শেষ পর্যন্ত হলে থাকার অনুমতি আদায় করে নেন বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব নামে মাত্র একটি ছাত্রী হল রয়েছে। হলটির প্রাধ্যাক্ষকে ছাত্রীরা প্রায় দুই ঘণ্টা তালাবদ্ধ করে রেখেছিলেন।
জবি প্রশাসনের নির্দেশ ছিল, বিকালের মধ্যে ছাত্রীদের হল ছাড়ার নির্দেশ ছিল। তবে ছাত্রীরা এখন হলে রয়েছেন।
এরপর আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে ছয়জনের একটি প্রতিনিধিদল প্রক্টর অফিসে গিয়ে ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে এবং প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে কয়েকদিন ধরে অবরোধ ও বিক্ষোভের মাধ্যমে আন্দোলন চলে আসছে। আন্দোলনে পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামে ছাত্রলীগ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন করা হয় পুলিশ ও বিজিবি।
এই আন্দোলনে শুরু থেকে সক্রিয় রয়েছে জবির শিক্ষার্থীরা।