শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংহতি স্থাপনের বিষয়টি সভায় গুরুত্ব পেয়েছে।
Published : 02 Aug 2024, 03:00 PM
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক চার উপাচার্য ও ছয় এমিরেটাস অধ্যাপকের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে পরিচালিত হবে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংহতি পুনঃস্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে বৈধ শিক্ষার্থীদের মেধার ভিত্তিতে আসন বণ্টনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়সংলগ্ন লাউঞ্জে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ ও অধ্যাপক আখতারুজ্জামান অংশ নেন।
এমিরেটাস অধ্যাপকদের মধ্যে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, খন্দকার বজলুল হক, রফিকুন নবী, নজরুল ইসলাম, হাশেম খান ও আতিউর রহমান অংশ নেন। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষে সভায় ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, দুই উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ ও অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান ও রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার।
সভার বিষয়ে অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে পরিচালিত হবে, তা নিয়ে আমাদের থিংক ট্যাংক হিসেবে পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও এমিরেটাস অধ্যাপকদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে।
“বিশ্ববিদ্যালয় দ্রুত খুলে দেওয়ার বিষয়ে উনারা পরামর্শ দিয়েছেন। তবে যেহেতু আমাদের হলগুলোর অনেক রুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলোর সংস্কার করতে হবে। এখানে আর্থিক বরাদ্দের বিষয় রয়েছে, সব মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলার তারিখ নির্ধারণ করা যাচ্ছে না। তবে আমরা একটা প্রসিডিউরের মধ্যে আছি। শিগগিরই সবকিছু স্বাভাবিক হবে।”
সভায় শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংহতি স্থাপনে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার।
তিনি বলেন, “কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে ভেদাভেদ বা একে অপরের প্রতি বিশ্বাসের যে জায়গাটা ভঙ্গ হয়েছে, সেটা পুনঃস্থাপন করা, সম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।”
সভায় কোটা আন্দোলনকে ঘিরে নিহতদের প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনার পাশাপাশি সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের নিন্দা, ঘটনাগুলোর দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য তদন্ত, গ্রেপ্তার ও আটক সব শিক্ষার্থীকে অবিলম্বে মুক্তির ব্যবস্থা করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
কোটা সংস্কার আন্দোলন সহিংস হয়ে উঠায় গত ১৭ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যার মধ্যেই সব শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগ করেন। তবে শিক্ষকরা ক্যাম্পাসে তাদের বাসভবনে অবস্থান করছেন।