বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করতেই পরিকল্পিতভাবে ‘বিজয়ের প্রাক্কালে’ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।
বুধবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
উপাচার্য বলেন, এদেশের বুদ্ধিজীবীরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাম্প্রদায়িকতা, উগ্রতা ও বর্বর গণহত্যার চিত্র বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছিলেন। তারা সকল অন্যায় ও বৈষম্যের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। নিজ নিজ পেশায় তারা ছিলেন প্রথিতযশা।
“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল এই গণহত্যার মূলকেন্দ্র। পৃথিবীর ইতিহাসে অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের নৃশংস গণহত্যার নজির নেই। …এই ন্যক্কারজনক গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করা প্রয়োজন।”
এসময় নতুন প্রজন্মের মাঝে ইতিহাস সচেতনতা গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেন উপাচার্য।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে উদার, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ বিনির্মাণে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান উপাচার্য।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এদিন উপাচার্যের ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকালে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে কবর, জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণের স্মৃতিসৌধসহ বিভিন্ন আবাসিক এলাকার স্মৃতিসৌধ এবং মিরপুর ও রায়ের বাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
আলোচনসভায় উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, উপ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. নিজামুল হক ভূইয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার বক্তব্য দেন।