বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও আবাসিক এলাকায় রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে দ্রুত হল সংসদ চালুর দাবিও জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কর।
Published : 08 Nov 2024, 01:29 AM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ছাত্রদলের পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে টানা দ্বিতীয় রাত বিক্ষোভ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতের বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন সরকার পতন আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক। তারা ক্যাম্পাসে ‘লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি’ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও আবাসিক এলাকায় রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে দ্রুত হল সংসদ চালুর দাবিও জানানো হয়েছে।
কয়েকশ শিক্ষার্থী রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হন। পরে মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে সমাবেশ করেন।
মিছিলে ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমম্বয়ক আব্দুল কাদের, আবু বাকের মজুমদার, তাহমীদ আল মুদ্দাসির, হাসিব আল ইসলাম, হামযা মাহবুবসহ আরও কয়েকজন।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের ঘটনাবহুল ঘটনার স্মরণে বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি হলে পোস্টার সাঁটায় ছাত্রদল। এর প্রতিক্রিয়ায় সেই রাতে মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা।
দ্বিতীয় রাতের সমাবেশে সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বলেন," আমরা ৭ দফায় বলেছি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো ‘লেজুড়বৃত্তিক’ ছাত্ররাজনীতি থাকবে না। ছাত্ররাজনীতি হবে ছাত্রদের জন্য। কিন্তু লেজুড়বৃত্তিক দলের নেতৃত্ব নির্বাচন করে তার মূল দল, ছাত্ররা নয়। "
কেন রাজনৈতিক দলের সহযোগী ছাত্র সংগঠনের কার্যক্রম চান না, সেই ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, "আবাসিক হলে রাজনীতির কথা শুনলেই শিক্ষার্থীদের মানসপটে দখদারিত্ব, ভাইকে ‘প্রটোকল’ দেওয়া, সকাল-বিকেল প্রোগ্রামে যাওয়ার কথা।
“আবরার ফাহাদ, আবু বকরের কথা ভেসে ওঠে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিকাংশ শিক্ষার্থী অসচ্ছল পরিবার থেকে উঠে আসে। অথচ একটি সিটের জন্য তাকে রাত-দিন রাজনৈতিক দলের পেছনে থাকতে হয়। "
আবু বাকের মজুমদার বলেন, “এই গণঅভ্যুত্থানে দুই হাজারের বেশি শহীদ হয়েছে। ৩০ হাজারের বেশি আহত হয়েছে। অথচ জুলাই অভ্যুত্থানের তিনমাস পার হলেও আমরা ৯ দফার অন্তর্ভুক্ত দলীয় ‘লেজুড়বৃত্তিক’ রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি বাস্তবায়ন করতে পারিনি।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ২৮ বছর পর একবার ডাকসু দেখলেও গত ৬ বছরে তা আর হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “দ্রুত ডাকসু নির্বাচন দিতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে এখনও অনেক অছাত্র বসবাস করছে, প্রশাসনের মাধ্যমে দ্রুত তাদেরকে বের করতে হবে।”
তাহমীদ আল মুদ্দাসির বলেন, “আমরা অন্যান্য বিষয়ের মতো ছাত্ররাজনীতিরও সংস্কার চাই। ছাত্ররাজনীতি ক্যাম্পাসে থাকবে, তবে একাডেমিক ভবন ও হলে রাজনীতি থাকবে না।”