ব্যবসায়ীদের দাবি, একই বিষয়ে নতুন একটি নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা আরেকটি স্তর তৈরি করবে এবং ব্যবসায়িক খরচ এবং জটিলতা বাড়াবে।
Published : 16 Apr 2023, 09:00 PM
ওষুধ ও প্রসাধনীকে একই আইনের আওতায় না এনে, এ দুটি শিল্পকে পৃথক আইনের আওতায় রাখার দাবি জানিয়েছেন প্রসাধনী ব্যবসায়ীরা।
রোববার এফবিসিসিআই মিলনায়তনে ‘প্রস্তাবিত ঔষধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩: বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট ও ভবিষ্যৎ প্রভাব’ শীর্ষক এক সেমিনারে ব্যবসায়ীরা তাদের দাবি তুলে ধরেন।
বিদ্যমান ঔষধ আইনে কসমেটিকস শব্দটি যুক্ত করে ‘ঔষধ ও কসমেটিকস বিল ২০২৩’ গত ৬ এপ্রিলি সংসদে তোলা হয়।
প্রস্তাবিত আইনের ৩১-৩৫ ধারায় কসমেটিকস উৎপাদন, বিতরণ, আমদানি বা রপ্তানির জন্য এবং এ কাজে নিয়োজিত কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা দোকান মালিককে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে নিবন্ধন ও লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এখন ২০১৮ সালের বিএসটিআই আইনের আওতায় কসমেটিকস শিল্পের লাইসেন্স দিচ্ছে বিএসটিআই।
ব্যবসায়ীদের দাবি, একই বিষয়ে নতুন একটি নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা আরেকটি স্তর তৈরি করবে এবং ব্যবসায়িক খরচ এবং জটিলতা বাড়াবে।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ওষুধ ও কসমেটিকস দুটো পণ্যই সাধারণ ভোক্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে দুটি পণ্যের চাহিদা এবং ব্যবহারের প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন।
“এতে একই আইনের আওতায় এনে ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রসাধনী সামগ্রীর কার্যক্রম পরিচালিত হলে প্রয়োগের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন। এজন্য বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা প্রয়োজন।”
প্রসাধনীর ব্যবসা করতে ওষুধ প্রশাসন থেকে নিতে হবে লাইসেন্স
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকও সেমিনারে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, “ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয় এমন কোনো আইন করা হবে না। ব্যবসায়ীদের আপত্তির বিষয়টি নিয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে প্রসাধনী শিল্পের অংশীজনদের নিয়ে একটি শুনানি করা হবে।
“যখনই কোনো আইন করা হয়, তা মানুষের মঙ্গলের জন্যই করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজই হচ্ছে দেশের মানুষের স্বাস্থ্যের সেবা দেওয়া ও তা নিশ্চিত করা। মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এমন বিষয়গুলোকে রোধ করা।”
বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক আবদুস সাত্তার, এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি এম এ মোমেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লায়েড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. নুরনবী, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের সিইও জাভেদ আখতার, বিএসটিআইয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আরাফাত হোসেন সরকার, হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সিইও মো. হালিমুজ্জামান, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ মুবিন খান, মিল্লাত কেমিকেল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহফুজ জামানসহ ব্যবসায়ী নেতারা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।