আমদানিতে অফশোর ব্যাংকিং থেকে অর্থায়নের মেয়াদ বাড়ল

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চাপে পড়ার মধ্যে এই সুবিধার মেয়াদ বাড়ানো হল।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Jan 2023, 02:30 PM
Updated : 4 Jan 2023, 02:30 PM

মূলধনী যন্ত্রপাতি, শিল্পের কাঁচামাল ও সরকারি পর্যায়ে আমদানিতে ‘অফশোর ব্যাংকিং’ থেকে অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং কার্যক্রমে অর্থায়নের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বুধবার এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে জানানো হয়, “মূলধনী যন্ত্রপাতি, শিল্পের কাঁচামাল ও সরকারি পর্যায়ে আমদানি ব্যয় নিষ্পত্তিতে অফশোর ব্যাংকিং থেকে অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিয়ে মূলধন নেওয়ার সুযোগের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ জুন, ২০২৩ করা হল।”

বাংলাদেশ ব্যাংক ১৯৮৫ সালে দেশের ব্যাংকগুলোকে অফশোর ব্যাংকিংয়ের অনুমোদন দেয়। ব্যাংকগুলো এডি শাখার মাধ্যমে দেশের বাইরের অর্থ লেনদেন পরিচালনা করে।

ব্যাংকগুলোর অফশোর ব্যাংকিং নীতিমালা অনুযায়ী, অফশোর ব্যাংকিং (অনাবাসী ব্যাংকিং) থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং কার্যক্রমে মূলধন স্থানান্তর (প্লেসমেন্ট) করতে পারে না।

বৈদেশিক মুদ্রার সংকট সামলাতে গত বছর জুলাই মাসে অফশোর ব্যাংকিং নীতিমালার ৭ দশমিক ৩ অনুচ্ছেদ ৬ মাসের জন্য শিথিল করে তহবিল স্থানান্তরের সুযোগ দেওয়া হয়।

সেই নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংকের রেগুলেটরি মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ অফশোর ব্যাংকিং থেকে অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিংয়ে স্থানান্তর করা যাবে। এই অর্থ শুধু মূলধনী যন্ত্রপাতি, শিল্পের কাঁচামাল ও সরকারি পর্যায়ে আমদানির বেলায় প্রয়োজ্য হবে।

এ সুযোগ দেওয়ায় ব্যাংকগুলোর অফশোর ব্যাংকিংয়ে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহার করে ব্যাংকের সব ধরনের শাখা পণ্য আমদানির দায় পরিশোধের সুযোগ পায়।

গত বছরের জুলাই মাসে দেওয়া এ সুযোগটির মেয়াদ শেষ হয় ডিসেম্বরে।

প্রথমবারের মতো এই সুযোগ দেওয়ার সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছিল, এর মেয়াদ কোনো অবস্থাতেই ছয় মাসের বেশি হবে না।

তবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চাপে পড়ার মধ্যে অফশোর ব্যাংকিং থেকে অর্থায়ন সুবিধার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হল।