চলতি মৌসুমে আম রপ্তানি শুরু হয়েছে; প্রথম দিনে চার দেশে যাচ্ছে প্রায় ১০ টন।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় রপ্তানির এ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। প্রথম দিনের চালানের আম যাবে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি ও সুইজারল্যান্ডে।
এবার চার হাজার টন আম রপ্তানির আশা করছে সরকার, যা গত বছরের দ্বিগুণেরও বেশি।
এদিন ঢাকার শ্যামপুরে কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজে রপ্তানি কার্যক্রম শুরুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার এ তথ্য জানান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্প ও বাংলাদেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবলস অ্যান্ড অ্যালাইড প্রডাক্ট এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ২৮টি দেশে এক হাজার ৭৫৭ টন আম রপ্তানি হয়েছিল। ওই বছর দুই লাখ হেক্টর জমিতে ২৩ লাখ ৫০ হাজার টন আম উৎপাদিত হয়।
বিশ্বে বাংলাদেশের আমের সুনাম রয়েছে জানিয়ে কৃষিসচিব বলেন, বিশ্বে আম উৎপাদনে আমরা সপ্তম স্থানে থাকলেও রপ্তানি খুবই কম। রপ্তানি আরও বাড়াতে যত ধরনের প্রতিবন্ধকতা আছে তা দূর করা হবে। প্রয়োজনে উৎপাদন স্থানের কাছাকাছি প্যাকিং হাউজ করা হবে।
রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন বাড়াতে কৃষি মন্ত্রণালয় এ বিষয়ক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০২২ থেকে ২০২৭ সাল মেয়াদে ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির কাজ করছে। রপ্তানিযোগ্য মানসম্মত আম উৎপাদনের লক্ষ্যে দেশের ১৫ জেলার ৪৬ উপজেলাকে এর আওতায় আনা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রকল্পটির সহায়তায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে উত্তম কৃষি চর্চার মাধ্যমে আম উৎপাদনে ৩৫০টি প্রদর্শনী, ৬০৪টি রপ্তানিযোগ্য জাতের আম বাগান তৈরি, ২৪০টি বিদ্যমান আম বাগানে সার ও বালাই ব্যবস্থাপনা এবং ২০০টি আধুনিক প্রযুক্তির (প্রুনিং ব্যাগিং ও বালাই ব্যবস্থাপনা) মানসম্মত আম উৎপাদন প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৯ উপজেলায় ৩৭১ জন আম চাষিকে ক্লাস্টার প্রদর্শনীর আওতায় আনা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, আম রপ্তানি প্রকল্পের পরিচালক আরিফুর রহমান, বাংলাদেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবলস অ্যান্ড অ্যালাইড প্রডাক্ট এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।