তিনি রুহুল আমিনের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
Published : 06 Feb 2025, 11:39 AM
ফার্মাসিউটিক্যালস বাদে বেক্সিমকো গ্রুপের সব কোম্পানির তত্ত্বাবধানে নতুন তত্ত্বাবধায়ক বা ‘রিসিভার’ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক খসরু পারভেজ।
মঙ্গলবার তাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রুটিন মোতাবেক খসরু পারভেজকে বেক্সিমকো গ্রুপের রিসিভার হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”
গত ১০ নভেম্বর এ দায়িত্ব পেয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক রুহুল আমিন। বেক্সিমকোর বিভিন্ন কোম্পানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় এর আগে রিসিভার বসানোর আদেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট।
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানিগুলোতে অস্থিরতা চলছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান। তিনি বর্তমানে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।
শ্রমিক অসন্তোষের মধ্যে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬ কারখানা লে-অফ ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রয়োজনীয় কাঁচালাম না থাকা, ব্যাংকের ঋণ বন্ধ হওয়া ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ হওয়ায় এলসি সুবিধা না পাওয়ায় সক্ষমতার পুরোটা কাজে লাগাতে পারছে না বেক্সিমকো লিমিটেড।
বেক্সিমকো শিল্প পার্কের জন্য গঠিত উপদেষ্টা কমিটি বলেছে, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে ৩২টি কারখানার নাম থাকলেও বাস্তবে ১৬টির অস্তিত্ব মেলেনি। অথচ এসব কারখানার নামে ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। আর সব মিলিয়ে ৩২ কোম্পানির নামে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ২৯ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে।
পুরো উৎপাদনে না থাকায় সবশেষ ছয় মাসে ফের লোকসান দিয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড। গত জুলাই-ডিসেম্বরে মোট ৩৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকার লোকসান গুনেছে এ কোম্পানি।
লোকসানের বিষয়ে বেক্সিমকো বলেছে, গতবছর অগাস্টের পর থেকে কোনো ব্যাংক বেক্সিমকো লিমিটেডের নামে এলসি (ঋণপত্র) খোলেনি। জুলাই-ডিসেম্বরের বেশিরভাগ সময়ে কারখানার উৎপাদন বন্ধ ছিল।
“কোনো ব্যাংকের সহয়াতা না পেয়ে উৎপাদনে থাকতে পারেনি বেক্সিমকো। এমনকি কোম্পানির কাছে মজুদ থাকা কাঁচামাল ইয়ার্ন ও ফেব্রিকস ব্যবহার করতে না পারায় কেনা দামের চেয়ে কমে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।”
সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বেক্সিমকোর ঋণ রয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা, এসব এখন খেলাপি হতে শুরু করেছে।