ইস্টার্ন রিফাইনারি ও এস আলম গ্রুপের যৌথ অংশীদারত্ব চুক্তির আওতায় ইআরএল-২ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গত আওয়ামী লীগ সরকার।
Published : 29 Aug 2024, 09:31 PM
ব্যবসায়িক গোষ্ঠী এস আলমের সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি অংশদারত্বে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের (ইআরএল) দ্বিতীয় ইউনিট নির্মাণের প্রস্তাব বাতিল করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রস্তাব বাতিলের এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বিপিসির আওতাধীন ইস্টার্ন রিফাইনারী লিমিটেড (ইআরএল) কর্তৃক বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাবিত ‘ইন্সটলেশন অব ইআরএল ইউনিট-২’ শীর্ষক প্রকল্পটি বিপিসি বা ইআরএল এবং এস আলম গ্রুপের মধ্যে সরকারি বেসরকারি যৌথ উদ্যোগী চুক্তির (পাবলিক-প্রাইভেট জয়েন্ট ভেঞ্চার) আওতায় বাস্তবয়ন প্রস্তাব বাতিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।”
১৯৬৮ সালে চালু হওয়া দেশের একমাত্র তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারির বার্ষিক শোধন সক্ষমতা ১৫ লাখ টন।
২০১২ সালে ৩০ লাখ টন সক্ষমতার আরেকটি রিফাইনারি ইউনিট নির্মাণের জন্য ‘ইআরএল-২’ প্রকল্প হাতে নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু অর্থায়ন সংক্রান্ত নানা জটিলতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হয়নি।
ইস্টার্ন রিফাইনারি ও এস আলম গ্রুপের যৌথ অংশীদারত্ব চুক্তির আওতায় ইআরএল-২ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গত ফেব্রুয়ারিতে নিয়েছিল তখনকার সরকার।
বৃহস্পতিবার জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “প্রকল্পটির ডিপিপি বৈদেশিক মুদ্রার হালনাগাদ রেট অনুযায়ী প্রাক্কলন এবং সমস্ত ক্রয় পরিকল্পনা পিপিআর-২০০৮ অনুযায়ী প্রণয়নপূর্বক পরিকল্পনা কমিশনে পুনর্গঠিত ডিপিপি প্রেরণ করার জন্য বিপিসি’তে পত্র প্রেরণ এর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।”
আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর নানা ক্ষেত্রে সংস্কারের মধ্যে ব্যাংক খাতে লুটপাটের অভিযোগে তদন্তের মুখে পড়েছে এস আলম গ্রুপ। কোম্পনির মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
এ কোম্পানি তাদের সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়ে পার পেয়ে যেতে চাইছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। এই গ্রুপের কোনো সম্পদ না কেনার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, “আমরা এ সম্পদকে আমানতকারীদের সুরক্ষায় ব্যবহার করতে চাই। এ বিষয়ে শিগগির আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”