উৎপাদিত প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ধরা হচ্ছে ১১ সেন্টের একটু বেশি, যা বাংলাদেশে মুদ্রায় ১৩ টাকার মত।
Published : 13 Jun 2024, 06:16 PM
চীনের সিআরইসি ইন্টারন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জির সঙ্গে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বি-আর পাওয়ারজেন কোম্পানির যৌথ মালিকানায় জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় ১০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎভবনে দুই কোম্পানির মধ্যে এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চীনা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জু সেন ওয়াং ও বি-আর পাওয়ারজেনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ধূর্জটী প্রসাদ সেন চুক্তিতে সই করেন।
মাদারগঞ্জ উপজেলার জোড়খালী ইউনিয়নে ২৪৮ একর খাস জমিতে আগামী দুই বছরের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে। এতে ১৭ কোটি ডলার খরচ হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রকল্পের সম্পূর্ণ খরচ বহনের বিনিময়ে চীনা কোম্পানি ৭০ শতাংশ শেয়ার পাবে। বাকি শেয়ার থাকবে বি-আর পাওয়ারজেনের কাছে।
উৎপাদিত প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ধরা হচ্ছে ১১ সেন্টের একটু বেশি, যা বাংলাদেশে মুদ্রায় ১৩ টাকার মত।
অবশ্য সম্প্রতি সরকারি ক্রয় কমিটিতে পাস হওয়া বিভিন্ন সৌর বিদ্যুতের ক্ষেত্রে দাম ধরা হয়েছিল ১১ টাকার কাছাকাছি।
চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান সংবাদিকদের বলেন, “যমুনা নদীর চরে চীনা কোম্পানির সঙ্গে যৌথ মালিকায় এই বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে। তিন বছর আগে এটা নিয়ে প্রাথমিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় দামটা কিছুটা বেশি দেখাচ্ছে, প্রতি ইউনিট ১১ সেন্টের কাছাকাছি।”
এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ৩৮০ হেক্টর জমির প্রয়োজন হবে। সেখানে খাস জমিতে আগে যারা অস্থায়ী হিসাবে বসবাস করতেন, তাদের পুনর্বাসনের ববস্থা করা হয়েছে। পাশেই আরপিসিএলের আরেকটি ১০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ প্রকল্প হচ্ছে বলে জানান সচিব।
তিনি বলেন, “এই জমি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ৩০ বছরের জন্য লিজ নিয়েছি। তারপরও অনেকে অস্থায়ীভাবে বসবাস করত। তাদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে। কমিউনিটি সেন্টার, স্কুল কলেজ এসব করা হচ্ছে।”
প্রকল্প এলাকায় এবং আশপাশের জায়গায় তেমন ফসল হয় না জানিয়ে হাবিবুর রহমান বলেন, “বছরের বড় অংশজুড়ে এটা পানির নিচে থাকে। আরপিসিএলের প্রকল্পটা বাঁধ নির্মাণ করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এখানে ৮/১০ ফুট উঁচু পোলের ওপর সোলার প্যানেল স্থাপন করা হবে। নিচে শুকনো সিজনে আদা, রসুন ও হলুদ, মরিচ সবজির চাষাবাদ হবে।
“এখন থেকে দুই বছরের মধ্যে, জুন ২০২৬ সালে এই কোম্পানি সিওডি করবে; অর্থাৎ উৎপাদন শুরু করবে।”