গেল অর্থবছরে দেশ-বিদেশে ৩০টি গন্তব্যে ৩৩ লাখ ৬৩ হাজার ৬৮৫ জন যাত্রী বহন করেছে জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থাটি, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে এক লাখ বেশি।
Published : 23 Dec 2024, 07:01 PM
গত অর্থবছরে ২৮২ কোটি টাকা নিট মুনাফার তথ্য দিয়েছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
সোমবার বিমানের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত শনিবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের মুনাফার এই তথ্য তুলে ধরা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় গত অর্থবছরে বিমানের আয় হয়েছে ১০ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ বেশি।
“গত অর্থবছরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালন মুনাফা হয় ১ হাজার ৫৫৬ কোটি টাকা। কিন্তু এক্সচেঞ্জ লস ও ট্যাক্স পরবর্তী হিসাবে নিট মুনাফা হয়েছে ২৮২ কোটি টাকা। ডলারের মূল্যবৃদ্ধিও মুনাফায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।”
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি বলছে, কোভিড মহামারীর পর টানা চতুর্থবারের মত তারা লাভের ধারা অব্যাহত রেখেছে। আর সবশেষ ১০ অর্থবছরের মধ্যে মুনাফা হয়েছে আটবার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিমান গেল অর্থবছরে ২১টি উড়োজাহাজের মাধ্যমে দেশ-বিদেশে ৩০টি গন্তব্যে ৩৩ লাখ ৬৩ হাজার ৬৮৫ জন যাত্রী পরিবহন করেছে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে এক লাখ বেশি।
এছাড়া ৪৩ হাজার ৪৪ মেট্রিক টন কার্গো পরিবহন করে বিমান ৬৩৭ কোটি টাকা আয় করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি।
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি বলছে, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৩ লাখ ৫০ হাজার ২২২ টন কার্গো হ্যান্ডেল করা হয়, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ৩৩ শতাংশ বেশি।
বিমান বিদেশি ৩২টি যাত্রীবাহী এয়ারলাইন্স ও ১৭টি কার্গো এয়ারলাইন্সকে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং পরিষেবা দিয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন নন-শিডিউল ফ্লাইটেও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং পরিষেবা দিয়েছে।
২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বিমান বিদেশি এয়ারলাইন্সের ৩৩ হাজার ২৯৭টি ফ্লাইটের ৬৬ লাখ ৩২ হাজার ৭৬০ জন যাত্রীকে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দিয়েছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
সেখানে দাবি করা হয়, গত ৫৩ বছরে বিমান সরকার থেকে কোনো ভর্তুকি নেয়নি। বরং নিজস্ব তহবিল থেকে ১৩টি নতুন উড়োজাহাজ কেনা বাবদ (ঋণ ও সুদসহ) গত নভেম্বর পর্যন্ত ১২ হাজার ৫৭৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে।
এর মধ্যে কেবল বিগত ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরেই পরিশোধ করা হয়েছে ১ হাজার ২৭৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। গত অর্থবছরে বিমান ভ্যাট ও ট্যাক্স বাবদ সরকারি কোষাগারে দিয়েছে ৯২৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, থার্ড টার্মিনালকে কেন্দ্র করে গত অর্থবছরে নিজস্ব তহবিল থেকে ২৪ কোটি ৫১ লাখ টাকার গ্রাউন্ড সার্ভিস ইক্যুইপমেন্ট (জিএসই) কিনেছে বিমান; আরও নতুন যন্ত্র কেনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।