শ্রম অধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘তদন্ত’ চলমান প্রক্রিয়া: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

“সামনের দিনগুলোতে আমাদের সম্পর্ক আরও সুন্দরভাবে, আরও নতুনভাবে এগিয়ে যাবে,” বলেন তিনি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 March 2024, 03:50 PM
Updated : 11 March 2024, 03:50 PM

বাংলাদেশের শ্রম অধিকারে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অনুসন্ধানকে চলমান আলাপ-আলোচনার অংশ বলে মনে করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

দেশটির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিশনের (ইউএসআইটিসি) বাংলাদেশসহ পাঁচ দেশে এ নিয়ে তদন্তের বিষয়ে সোমবার এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তদন্ত করছে, বিষয়টা সঠিক টার্ম নয়। শ্রম অধিকার ও এর উন্নয়ন নিয়ে আমাদের সাথে বহু দিন ধরে আলাপ আলোচনা চলছে এবং সেই আলোচনার অংশ হিসেবে তাদের কয়েকটি সংস্থা থেকে আমাদের সাথে বসেছে, শ্রমিক অধিকার সংগঠনের সাথে বসেছে।

 “এটা রেগুলার প্রসেস, আজকে নতুন হচ্ছে তা নয়, আগেও হয়েছে। অর্থাৎ কর্মপরিবেশ উন্নয়ন, শ্রম পরিবেশের উন্নয়ন, এ নিয়ে আমাদের সাথে আলাপ আলোচনা আছে।”

নতুন সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠিতে একসঙ্গে কাজ করার আশ্বাসের মধ্যে শ্রম অধিকার নিয়ে তদন্তের বিষয়টি তুলে ধরে ওই প্রশ্ন করা হয়।

উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চিঠিতে সম্পর্ককে ‘নতুন অধ্যায়ে নেওয়ার কথা বলেছেন বাইডেন। প্রধানমন্ত্রীও চিঠির উত্তরে একযোগে কাজ করার কথা বলেছেন।

“সামনের দিনগুলোতে আমাদের সম্পর্ক আরও সুন্দরভাবে, আরও নতুনভাবে এগিয়ে যাবে।”

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে তুরস্ক, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে টানা সফর নিয়ে এক ব্রিফিংয়েএ প্রশ্নের উত্তর দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান।

১ মার্চ থেকে তুরস্কে তিনদিনের আনাতালিয়া ডিপ্লোম্যাটিক ফোরামে যোগ দেন তিনি। আনাতালিয়া ফোরামের সাইডলাইনে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে তার বৈঠক হয়।

বৈঠকে দেশটির কাছ থেকে সামরিক সরঞ্জাম কেনার বিষয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, “আমরা তুরস্ক থেকে কিছু ড্রোন কিনি, কিছু সামরিক সরঞ্জাম কিনি, সেটা তো আমাদের কলমান প্রক্রিয়া। এখন আমরা অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা করেছি। কোনো স্পেসিফিক ইস্যুর উপর গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করেছি, তা নয়।”

মিয়ানমারে সংঘাতের বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের মধ্যে আছি। মিয়ানমারে যা ঘটছে, সেটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়।”