লবণ উৎপাদনে ৬২ বছরের রেকর্ড

মে মাসের মাঝামাঝি সময়কে চলতি মৌসুমের শেষ ধরে এবার ২০ লাখ টন লবণ উৎপাদন হওয়ার আশা করছে সংস্থাটি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 April 2023, 04:11 PM
Updated : 26 April 2023, 04:11 PM

মৌসুম শেষ হওয়ার সপ্তাহ তিনেক বাকি থাকতেই এবার লবণের উৎপাদন ৬২ বছরের আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে; এখন পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে ১৮ লাখ ৩৯ হাজার টন।

চলতি মৌসুমে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে লবণ উৎপাদনের মোট এ পরিমাণ ২০২২ সালের চেয়ে শূন্য দশমিক ৩৮ শতাংশ বেশি। আগের বছরও রেকর্ড গড়ে লবণ উৎপাদন হয়েছিল ১৮ লাখ ৩২ হাজার টন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিসিক।

বুধবার লবণ খাতের দেখভালকারী সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) জানিয়েছে, আবহাওয়া অনুকূল থাকায় মৌসুম শেষ হতে তিন সপ্তাহ বাকি থাকতে এখন পর্যন্ত যে উৎপাদন হয়েছে তা ৬২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

মে মাসের মাঝামাঝি সময়কে চলতি মৌসুমের শেষ ধরে এবার ২০ লাখ টন লবণ উৎপাদন হওয়ার আশা করছে সংস্থাটি।

দাম বেশি পাওয়ায় অধিক কৃষক এবার আগের চেয়ে বেশি জমিতে লবণ চাষ করায় উৎপাদন বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিক এর উপ মহাব্যবস্থাপক ও লবণ সেল এর প্রধান সরোয়ার হোসেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ‘‘ডাইং কারখানাগুলোতে ব্যবহৃত আমদানি পণ্য সোডিয়াম সালফেটের দামবৃদ্ধি পাওয়ায় তারা এর বিকল্প হিসেবে সোডিয়াল ক্লোরাইড ব্যবহার করছে, যা স্থানীয় ভাষায় লবণ।’’

এবার প্রতি মণে আগের বারের চেয়ে ১০০ টাকা দাম বেশি পাচ্ছেন কৃষক জানিয়ে তিনি বলেন, “এবার ৩৫০ টাকা মণের নিচে কোনো লবণ বিক্রি হচ্ছে না। দাম বেশি ও বিক্রির নিশ্চয়তা পাওয়ায় এবার বেশি সংখ্যক লবণ চাষি চাষাবাদে নেমেছেন। এর সঙ্গে গরম আবহাওয়া লবণ উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছে।’’

শিল্পে চাহিদা বাড়ায় ও দাম ঊর্ধ্বমুখী হলে এবার লবণ চাষিরা এক মাস আগেই আবাদ শুরু করেছেন বলেও জানান তিনি।

অপরদিকে টানা তাপদাহে জনভোগান্তি বাড়লেও গ্রীষ্মের এ বৃষ্টিহীন সময় লবণ উৎপাদনের জন্য সহায়ক ছিল। এটি রেকর্ড পরিমাণে উৎপাদন বাড়াতে মূল ভূমিকা রেখেছে।

লবণ উৎপাদনের মৌসুম ধরা হয় মধ্য ডিসেম্বর থেকে মধ্য মে পর্যন্ত। এবার তা ২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে এবং মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলবে জানিয়ে সারোয়ার হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে ৬৬ হাজার ৪২৪ একর জমি আবাদ করা হয়, যা ২০২২ সালে ছিল ৬৩ হাজার ২৯১ একর। লবণ চাষে জমি বেড়েছে ৩ হাজার ১৩৩ একর।

অপরদিকে ৩৭ হাজার ২৩১ জন থেকে বেড়ে চাষির সংখ্যা বেড়েছে ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন বলে জানিয়েছে বিসিক।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লবণ চাষ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ এবং উৎপাদন, মজুদ ও মূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়গুলো নিয়মিত পর্যবেক্ষণে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।