প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোই বড় চ্যালেঞ্জ: সালমান রহমান

তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে বাজেটে কিছুটা সংশোধনী আনা হতে পারেও বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 June 2023, 04:12 PM
Updated : 9 June 2023, 04:12 PM

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো দুই দিনের ‘জেসিআই স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট ও এক্সপো’ শুরু হয়েছে ঢাকায়।

শুক্রবার ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় জেসিআই বাংলাদেশ এর আয়োজনে এবং এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) এর সহযোগিতায় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট ও এক্সপো ২০২৩’ এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

এসময় তিনি বলেন, বর্তমানে প্রযুক্তি খুবই দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে খাপ খাওয়ানো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এখন। আপনি চ্যাটজিপিটিকে একটা রিট পিটিশন ড্রাফট করতে বলবেন, দেখা যাবে যে ৫-৬ সেকেন্ডে তা ড্রাফট করে দিচ্ছে। যা বিশ্বব্যাপী একটা ওয়েভ সৃষ্টি করছে।

“এসব নিয়েই এখন আমাদের কাজ করতে হবে। টেকনোলজির আরেকটা বড় ধরনের অগ্রগতি হবে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং। যেটা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন কাজ করছে। এখন বাংলাদেশ সামনের দিনের প্রযুক্তি নিয়ে কী, কীভাবে কাজ করতে পারে সেটা নিয়ে সরকার একটা নীতিমালা করে দিতে পারে। বেসরকারি বিভিন্ন খাতকে এসব নিয়ে কাজ করতে সুযোগ করে দিতে পারে।”

সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরি করে ফেলেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমাদের ফাইবার অপটিক ব্যাকবোন আমরা ইউনিয়ন লেভেল পর্যন্ত দিয়ে দিয়েছি। কিন্তু আসল কাজটা তরুণদেরকে করতে হবে, কারণ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ আপনারাই।”

তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে বাজেটে কিছুটা সংশোধনী আনা হতে পারে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা। সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ভ্যাট-ট্যাক্স আরোপের বিষয়টি প্রত্যাহারের যে দাবি রয়েছে এর সঙ্গে তিনিও একমত বলে জানান।

তিনি বরেন, “বাজেট পাস হওয়ার আগে কয়েক জায়গায় আমরা সংশোধন করতে পারব, হয়তো সেটা শতভাগ পারব না। কিছু জায়গা আছে যেগুলো আমাদের আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে।”

অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ঘোষণা করার পর এ নিয়ে জেসিআই প্রথম সামিট করছে।

তিনি বলেন, ব্যবসা শুধু মুনাফার জন্য করলে হবে না, সমস্যার সমাধান নিয়ে আসতে হবে। এটি করতে পারলে বাংলাদেশে মিলিয়ন ডলারের স্টার্টআপ হবে তৈরি করা সম্ভব হবে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি পিলার বিষয়ে এটুআই প্রকল্পের পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

এতে তিনি বলেন, ২০০৮ সালে সরকারের ডিজিটাল সেবা ছিল প্রায় শূন্য, সেখান থেকে ২০২৩ সালে এসে সেখানে দুই হাজারের বেশি সেবা দেওয়া হচ্ছে।

জেসিআই বাংলাদেশ এর ডেপুটি ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ইমরান কাদির স্বাগত বক্তব্য দেন।

সমাপনী বক্তব্যে জেসিআই বাংলাদেশ এর চেয়ারপারসন তাহসিন আজিম সেজান জানান, এ প্রদর্শনী আয়োজনের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড নিজেদের ভবিষ্যত স্মার্ট সল্যুশন প্রদর্শন করার সুযোগ পাচ্ছে।

দুই দিনের অনুষ্ঠানে ১১টি বিশেষ সেশনে দেশ ও দেশের বাইরের বিশেষজ্ঞরা তাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা করবেন।

অনুষ্ঠানে এটুআই’র প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, বিজিএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ব্যারিস্টার সামির সাত্তার, ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার, জেসিআই বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি জেনারেল নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, জেসিআই বাংলাদেশের ২০২৩ এর ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক ভূঁইয়া, এসিআই লজিস্টিকস লিমিটেডের (স্বপ্ন) বিজনেস ডিরেক্টর সোহেল তানভীর খান বক্তব্য দেন।