ইউনিপে'র বিরুদ্ধে মুদ্রাপাচার মামলা

মুদ্রাপাচারের অভিযোগ এনে ইউনিপে-টু-ইউ বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Jan 2011, 05:06 AM
Updated : 23 Jan 2019, 09:45 AM

মঙ্গলবার ঢাকার শাহবাগ থানায় এ মামলা হয়। থানার ওসি নাসিমা আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে মামলাটি করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- ইউনিপে-টু-ইউ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মুনতাসির হোসেন ও চেয়ারম্যান মো. শহীদুজ্জামান (শাহীন)।

‘মাল্টি লেভেল মার্কেটিং’ সংস্থা ইউনিপে-টু-ইউ মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে বলে গত ১৬ জানুয়ারি এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়।

এর আগে ৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জনসাধারণকে সতর্ক করে বলা হয়, এমএলএম ব্যবসায় কিছু প্রতিষ্ঠান উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে প্রতারণামূলকভাবে অর্থ সংগ্রহ করছে।

এই ‘ভুয়া’ প্রচারণার বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে উল্লেখ করে তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, “এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।”

এর নয় দিনের মাথায় মুদ্রাপাচারের মামলাটি হলো।

এজাহারে বলা হয়, রেজিস্ট্রার্ড অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস এ আমদানি, রপ্তানি ও মাল্টি লেভেল মার্কেটিং কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধন করে ইউনিপে-টু-ইউ।

কিন্তু দুই আসামি বিনিয়োগের আইনকানুন না মেনেই ‘ভারচুয়াল গোল্ড’ ক্রয়ে কথিত বিনিয়োগের কথা বলে জনসাধারণকে অল্প সময়ের মধ্যে অধিক হারে মুনাফা দেওয়ার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে কোম্পানির অনুকূলে অর্থ জমা করতে প্ররোচিত করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

এজাহারে আরো বলা হয়, তাদের প্রচার ও অপকৌশলে বিভ্রান্ত হয়ে আর্থিক লাভবান হওয়ার আশায় মানুষ ২০০৯ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনটি হিসাব সিটি ব্যাংক নিউমার্কেট শাখা, এনসিসি ব্যাংক নারায়গঞ্জ শাখা ও ব্র্যাক ব্যাংক এলিফেন্ট রোড শাখায় মোট ২৪৬ কোটি ৩০ লাখ ৪৫৪ টাকা জমা করে।

“অভিযুক্ত দুজন খরচ দেখিয়ে ২৫ কোটি ১২ লাখ ৩ হাজার ২০৭ টাকা উত্তোলন করে ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর বা রূপান্তর করে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শস্তিযোগ্য অপরাধ”, বলা হয় মামলায়।